স্টাফ রিপোর্টার : বাইরে খেলতে গেলে প্রতিপক্ষকে অনুশীলন দেখতে দেওয়া যাবে না। সহজ বাংলায় এই হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল প্রশিক্ষক আলেজান্দ্রো মেনেজেসের মনস্তত্ত্ব। যার জেরে শেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে কলকাতায় অনুশীলন করে তারপর দল রওনা দিয়েছে খেলতে। কিন্তু যেহেতু চেন্নাই যেতে পথে অতিরিক্ত সময় লেগে যাবে, তাই রবিবার আর অনুশীলন হয়নি। তাই বলে অবশ্য থেমে থাকেনি চেন্নাই বধের প্রস্তুতি। আলেজান্দ্রোর ভাবটা এমন, প্রস্তুতি যে মাঠেই নিতে হবে এই কথা কোথায় লেখা আছে? হলও তাই। দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময় যাতায়াতে কেটে যাওয়ায় চেন্নাই বধের নীল নকশা তৈরি হল মাঠের বাইরে। প্রতিপক্ষর শক্তি-দুর্বলতা সবই পর্দায় দেখালেন আলেজান্দ্রো। প্রত্যককে বুঝিয়ে দেওয়া হল নিজেদের দায়িত্ব।
[ঘোষণা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, আগামী বছর থেকে আইএসএলে নেই এটিকে]
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচটির গুরুত্ব কতটা, তা ভালই জানেন দলের সঙ্গে যাওয়া প্রত্যক খেলোয়াড়। তালিকার শীর্ষে চেন্নাই, পয়েন্ট ২৪। একটি কম খেলে ছ’য়ে থাকা ইস্টবেঙ্গলের সংগ্রহ ১৯। জিততে পারলে ব্যবধান কমে দাঁড়বে দু’পয়েন্টে। হাতে থাকবে একটি অতিরিক্ত খেলা। দৌড়ে প্রতিপক্ষর সঙ্গে ব্যবধান কমানোর এই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল। যদিও চাপ এড়াতে এই বিষয়টি নিজেদের থেকে দূরে ঠেলতে চাইছেন আলেজান্দ্রো। সাংবাদিক সম্মেলনে বলছিলেন, “ওরা শীর্ষে আছে। আমরাও ভাল ছন্দে আছি। আশা করছি একটা ভাল খেলা হবে। তবে প্রতিযোগিতা সবে মাঝ পর্যায়ে। এখনও অনেক খেলা বাকি। তাই বলা যায় খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু জিততেই হবে এমনটা নয়।” শহর ছাড়ার আগেই ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে ইঙ্গিত মিলেছে চেন্নাই ম্যাচে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চান আলেজান্দ্রো। দক্ষিণ ভারতের দলটির অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক নীতি ভাঙতে সবসময় তাদের উপর চাপ তৈরি করতে চান তিনি। সেই বিষয়ে না ঢুকলেও খেলার প্রসঙ্গে লাল-হলুদ কোচ বললেন, “প্রথম পর্বের খেলায় কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করায় আমরা হারি। এখন অনেক ভাল জায়গায় আছি। ছেলেরা ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছে। চেন্নাই সিটিকে থামাতে আমরা আত্মবিশ্বাসী। ওদের বেশ কয়েকজন ভাল খেলোয়াড় আছে। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী।”
উলটোদিকে খেলার আগে প্রতিপক্ষর উপর মানসিক চাপ তৈরির কাজে নেমে পড়লেন চেন্নাই প্রশিক্ষক আকবর নওয়াজ। বললেন, “অনেকে বলছেন ইস্টবেঙ্গলকে হারালেই নাকি আই লিগ জিতে যাব। সেটা একদমই বিশ্বাস করি না। এখনও লিগ তালিকা দেখিনি। শেষে দেখব। তবে একটা কথা ঠিক যে আমাদের হারানোর কিছু নেই। কলকাতার দুই প্রধানে প্রচুর ঐতিহ্য। চাপ তো ওদের। আমাদের সেসব নেই। আমরা শুধু উপভোগ করব।” মুখে যে যাই বলুন, একটি জিনিস স্পষ্ট যে, প্রতিযোগিতার ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে এই খেলার উপর। দেখার শুধু সফল হয় কারা।
[ ভরসা সেই সোনি, নেরোকাকে হারিয়ে তৃপ্তির জয় মোহনবাগানের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.