সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মরশুমে জোড়া ডার্বি হারের ফল যা হওয়ার ছিল, তাই হল। প্লাজাকে ছাঁটাই ও খালিদের ক্ষমতা খর্ব করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ইস্টবেঙ্গল।
টানা পয়েন্ট নষ্ট। তার উপর ডার্বিতে দলের শোচনীয় পারফরম্যান্স। যার জেরে উইলিস প্লাজাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ শেষের পর পরই। ড্রেসিংরুমেই তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়। প্রাথমিকভাবে সেখানে ছিলেন প্লাজা, খালিদ ও আলভিটো। পরে আসেন অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার, ফুটবল সচিব রজত গুহরা। সেই বৈঠকের পর ইস্টবেঙ্গল থেকে রিলিজ চান প্লাজা। বলা ভাল তাঁকে রিলিজ চাইতে বাধ্য করা হয়। বিচ্ছেদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে রফা হয়ে গেলেই প্লাজাকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো যাওয়ার টিকিট ধরিয়ে দেওয়া হবে। মরশুমের মাঝমথে প্লাজা ছেড়ে যাওয়ায় নয়া বিদেশি আনার দিকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ক্লাব। ফরোয়ার্ডে ডুডুর সঙ্গে প্লাজার শূন্যস্থান পূরণের জন্য উঠে আসছে ব্রাজিলিয়ান রাফায়েলের নাম। সিঙ্গাপুর লিগে খেলা এই বিদেশি আপাতত দৌড়ে এগিয়ে। দু-তিন দিনের মধ্যেই নয়া বিদেশির নাম ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
প্লাজার পর কর্মকর্তাদের নিশানায় খালিদের নাম। চুক্তি সংক্রান্ত জটিলতায় তাঁকে সরানো অনেক ব্যয়বহুল। ডার্বির পর সাংবাদিক সম্মেলনে কর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে দলগঠনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ আনেন খালিদ। বলেন, তিনি চাপে পড়ে ডাবল স্ট্রাইকারে দল নামান। তাতেই অমন কুৎসিত ফুটবল খেলেছে দল। বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে দেবব্রত বলেন, “বাজি রেখে বলতে পারি কেউ দলগঠনে নাক গলায়নি। এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। যদি তাই হত তাহলে অনেকদিন আগেই কান ধরে রক্ষণের ভুল মেরামত করা শেখাতাম।” কোচের উপর বিরক্ত কর্তারা খালিদের জন্যও তৈরি করছেন প্লাজার মতো স্ক্রিপ্ট। একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, খালিদকে সরাতে গেলে মোটা টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তাই সাজানো হয়েছে প্ল্যান বি। যার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে প্র্যাকটিসে নিয়মিত আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। সঙ্গে খালিদের সহকারী রঞ্জন চৌধুরিকেও অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। খালিদকেও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে দল সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই দু’জনের সঙ্গে আলোচনা করেই। অর্থাৎ খালিদের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। যাতে একসময় বিরক্ত হয়ে তিনি নিজেই দায়িত্ব ছাড়ার কথা বলতে পারেন।
খালিদের বঞ্চনা ও দুর্ব্যবহার সহ্য করতে না পেরে সরে গিয়েছিলেন লাল-হলুদের মনাদা। ডার্বিতে দলের শোচনীয় অবস্থা দেখে নিজেই যোগাযোগ করেন শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে। তারপরই দেবব্রত সরকার বলেন, “দল রোজ গোল খাচ্ছে, অথচ দেশের সর্বকালের সেরা স্টপার মনোরঞ্জন আমাদের ম্যানেজার। তাঁর সাহায্য নেয়নি খালিদ। এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কী? মনাদা যেদিন, যখন থেকে চাইবেন, দলের দায়িত্ব নিতে পারেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.