সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেষ্টার ত্রুটি ছিল না৷ জেদ ছিল ষোলআনা৷ ছিল চোয়াল চাপা সংকল্প৷ সঙ্গী ছিল কঠোর প্রশিক্ষণ আর কোটি কোটি দেশবাসীর শুভেচ্ছা-প্রার্থনা৷ কিন্তু প্রসন্ন ছিলেন না ভাগ্যদেবী৷ তাই চতুর্থ স্থানে থেকেই ওলিম্পিক অভিযান শেষ করতে হল দীপা কর্মকারকে৷ তবে হেরে যাননি দীপা কর্মকার৷ বরং যেখানে শেষ করেছেন সেখান থেকেই তাঁর লক্ষ্য পরের অভিযানে৷ এই মুহূর্তে ২০২০-র টোকিও ওলিম্পিকে সোনা জেতাকেই পাখির চোখ করছেন তিনি৷
সারা দেশবাসীর স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার মুহূর্তে তিনি নিজেও যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন৷ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি পঞ্চম বা ষষ্ঠ হলে এত কষ্ট হত না৷ কিন্তু এত অল্প পয়েন্টের ব্যবধানে পদক হারানোর যন্ত্রণা কাঁটার মতো বিঁধছে তাঁকে৷ কিন্তু তিনি যে অ্যাথলিট৷ লড়াই তাঁর ধর্ম৷ আর তাই রক্তক্ষরণকেই অনুপ্রেরণা করে নিয়েছেন ইতিমধ্যে৷ ‘মাত্র কয়েক পয়েন্টের জন্য পদক হারানো আমার দুর্ভাগ্য৷ তবে আমি তো কখনও ভাবিনি যে চতুর্থ হয়ে ওলিম্পিক শেষ করব৷ আমি আমার পারফরম্যান্সে খুশি৷ এটাই আমার সর্বোচ্চ স্কোর৷ তবে যাঁরা পদক পেয়েছেন তাঁরা আমার থেকে আরও বেশি ভাল পারফর্ম করেছেন৷ আসলে ওটা আমার দিন ছিল না৷ তবে আমি হতাশ নই৷ এই আমার প্রথম ওলিম্পিক৷ টোকিও ওলিম্পিকে আমি আমার সেরাটাই দেব৷,’ প্রতিক্রিয়া দীপার৷
তাঁর এই লড়াকু মনোভাবেই যেন আশায় বুক বাঁধছে দেশবাসী৷ সারা বিশ্বে চতুর্থ হওয়া যে চাট্টিখানি কথা নয় তা বিলকুল জানেন সকলে৷ বিশেষত যে দেশের নাম ভারতবর্ষ, যেখানে ক্রিকেটের মোচ্ছব হলেও, অ্যাথলিটদের প্রায় ব্রাত্য করেই রাখা হয়৷ সামগ্রিক ভাবে ওলিম্পিকে এবার দেশের ফলাফল চূড়ান্ত হাতাশাজনক৷ সব অন্ধকার কাটিয়ে টোকিওতে নতুন সূর্য উঠুক, আর দীপার হাতে উঠে আসুক সোনা, এমনটাই কামনা এখন করছেন সকলে৷ আর তাই পদক আসুক বা নাই আসুক কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে জিতে গিয়েছেন দীপা৷ অ্যাথলিটদের প্রতি দেশবাসীর দৃষ্টি যে তিনি ঘুরিয়ে দিতে পেরেছেন সেটিই তাঁর কৃতিত্ব ও জয়৷ আর তাই পদক হারালেও কোটি দেশবাসীর কাছে হেরেও হেরে যাননি দীপা কর্মকার৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.