স্টাফ রিপোর্টার: জিমন্যাস্টিক্স তিনি বুঝতেন না৷ এটা নিয়ে তাঁর কোনও আগ্রহও ছিল না৷ শুধু বাবার কথায় এই খেলাকে বেছে নিয়েছিলেন৷ বললেন দীপা কর্মকার৷
রিও ওলিম্পিকের পর দীপা এখন দেশের অন্যতম সেরা স্পোর্টস আইকন৷ ভুবনেশ্বরে ক্রীড়া সাংবাদিকদের জাতীয় কনভেনশনে উপস্থিত হয়ে তিনি আরও বলেন, “আমি স্যরের কাছে ঋণী৷ উনি আমার কাছে ভগবান৷” দীপা যাঁর কথা বলছিলেন, সেই বিশ্বেশ্বর নন্দীও ছিলেন শুক্রবার রাতের অনুষ্ঠানে৷ দ্রোণাচার্য পুরষ্কার পাওয়া কোচ আক্ষেপ করে বলছিলেন, এখানে কেউ আগে থেকে প্রতিভাবানদের পাশে দাঁড়ায় না৷ বিশেষ কিছু করার পরই সবাই পাশে এসে দাঁড়ায়!
পিছন ফিরে তাকিয়ে বিশ্বেশ্বর মনে করছিলেন সেই দিনগুলির কথা৷ বলছিলেন, “ভীষণ একরোখা, মাথা গরম করা মেয়ে ছিল ও৷ ট্রেনিংয়ের সময় সেটা বুঝতে পেরেছিলাম৷ আমি ওর বাবাকেও কথাটা বলেছিলাম৷ পরে আস্তে আস্তে দীপাকেও বুঝিয়েছিলাম৷ তাতে ওর রাগ কমে গিয়েছিল৷” তিনি মনে করিয়ে দেন, এক সময় অন্য কোচেরা ‘ফ্ল্যাট ফুটেড’ বলে দীপাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন৷ বিশ্বেশ্বর বুঝেছিলেন, এই মেয়ের মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে৷ তিনি তাই আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছিলেন৷
রবিবার দীপা ও তাঁর কোচ কলকাতায় আসছেন৷ সোমবার সকালে ভবানীপুর ক্লাবে দীপার সংবর্ধনা৷ তার আগে ভুবনেশ্বরে দীপা বলছিলেন, লন্ডনে তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সিনিয়রদের অনেককে হারানোর পর কোচ বলেছিলেন শুধু সামনের দিকে তাকাতে৷ তিনি সেই পরামর্শ মেনে চলেছেন৷ ফলও পেয়েছেন৷
দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে আশিস কুমারকে ব্রোঞ্জ জিততে দেখে উৎসাহ পেয়েছিলেন আগরতলার বছর তেইশের তরুণী৷ সেই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে কোনও ভারতীয় জিমন্যাস্ট পদক জেতেন৷ “তখনই লক্ষ্য স্থির করেছিলাম পরের কমনওয়েলথ গেমসে পদক জিতব,” বলছিলেন দীপা৷ তিনি সেবার ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.