Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফুটবলে হারলেও ক্রিকেটে জয়জয়কার, ত্রিমুকুট মোহনবাগানের

বারাসতে শিল্ড ফাইনালে হারের ক’ঘন্টার মধ্যে ক্রিকেটে সুপার লিগের ফাইনালে ডার্বি জয়।

Published by: Saroj Darbar
  • Posted:July 20, 2018 11:21 am
  • Updated:August 1, 2018 6:12 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: বারাসতে শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারের খবর শুনে সমর্থকরা হতাশ হলেও ক’ঘন্টার মধ্যে ক্রিকেটে সুপার লিগের ফাইনালে ডার্বি জয়। সেটাও ইস্টবেঙ্গলকে উড়িয়ে। বিকেলের হতাশার ছবি রাতে বদলে গিয়ে অানন্দ—উচ্ছ্বাসে।

[ ধোনি কি অবসর নিচ্ছেন? এবার এই বিতর্কে মুখ খুললেন কোচ শাস্ত্রী ]

Advertisement

প্রথম ইনিংসে ৬৬ রানে লিড নেওয়ার পর বাগান সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিলেন লিগ তাদের। মোহনবাগান জিতছে। শেষে সেটাই হল। লিগের সঙ্গে এই মরশুমে বাগান তাঁবুতে ঢুকল তিনটে ট্রফি। লিগ, সুপার লিগের সঙ্গে টি২০।  ম্যাচ যে সহজ ছিল, তা নয়। টেনশন ছিল। ফাইনাল বলে কথা। উল্টোদিকে আবার ইস্টবেঙ্গল। আর ইডেনের উইকেট তখন কিছুটা বীপরিতধর্মী আচরণ করছে। বল ঘুরছে, যা হালফিলে দেখা যায়নি। কিন্তু মনোজ তেওয়ারি আর ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়দের ব্যাটে যাবতীয় সংশয় কাটতে সময় লাগেনি। মনোজ তেওয়ারি ৭১ রানে অপরাজিত থাকলেন। অবশ্যই বলতে হবে আর একজনের কথা। তিনি অরিন্দম ঘোষ। প্রথম ইনিংসে তঁার ১৩৩ রানের ইনিংসটা না এলে মোহনবাগান সহজে জেতে না। ক্রিকেট সচিব সম্রাট ভৌমিক বলছিলেন, “ইদানীংকালে আমার দেখা সেরা ইনিংস ওটা। টেরিফিক ব্যাট করেছে। টেলএন্ডারদের নিয়ে যেভাবে ব্যাট করল, জাস্ট ভাবা যায় না।” অধিনায়ক শুভময় দাসও তাই বলে গেলেন। বললেন, “দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে অরি।” আর অরিন্দম নিজে? বললেন, “ফাইনালে এমন একটা ইনিংস খেলতে পেরে ভাল লাগছে। আরও ভাল লাগছে সেটা ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হওয়ায়। তবে বড় ম্যাচ বলে আলাদা চাপ ছিল না। বেসিক ঠিক রেখে ব্যাটিং করেছি।” কিন্তু একদিক থেকে উইকেট পড়ে যাচ্ছিল, সেখানে কাজটা কতটা কঠিন ছিল? ম্যাচের সেরা অরিন্দম বললেন, “শেষদিকে যখন দুটো—তিনটে উইকেট ছিল, তখন নিজে স্ট্রাইক নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। আলাদা চাপ নিইনি।”

[  সেপ্টেম্বরেই ভোট মোহনবাগানে, আদালতের নির্দেশে অচলাবস্থা কাটার ইঙ্গিত ]

ব্যাটিংয়ে যদি অরিন্দম হয়, তাহলে বোলিংয়ে রাজকুমার পাল, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়দের কথা বলতে হয়। প্রথমজন নিলেন চারটে, দ্বিতীয়জন তিন।২২৪ রান খুব বেশি নয়। ইস্টবেঙ্গলের ব্যাটিংও ভাল। সেখানে ১৫৮ রানে অলআউট করে দেওয়া বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। রাজকুমার বলে গেলেন, “উইকেট থেকে সাহায্য পাচ্ছিলাম। পেসাররা শুরুটা ভাল করে দিয়েছিল। এটা টিম এফোর্টের জয়। সবাই দারুণ পারফর্ম করেছে। ” খেলা শেষ হল চা বিরতির একটু পরে। কিন্তু সেলিব্রেশনটা শুরু হয়ে গেল তার আগেই। সোনার একটা মরশুম গেল মোহনবাগানের। চারটের মধ্যে তিনটে ট্রফি জয়। নক আউটেও ট্রফির খুব কাছাকাছি এসেও শেষ পর্যন্ত জেতা যায়নি, সেটা হলে চারে-চার হয়ে যেত।
শুভময় বলছিলেন, “এর আগেও সুপার লিগ জিতেছি। অনেকেই অনেক কথা বলছিল। বলত, ইস্টবেঙ্গল থাকলে আমরা সহজে জিততে পারি না। তাই সবাইকে জবাবটা দিয়ে গেলাম। বুঝিয়ে দিলাম কী করতে পারি। সবাই এককাট্টা হয়ে ক্রিকেট খেলেছি। সিনিয়র থেকে জুনিয়র সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। তার জন্যই এই সাফল্য।”
ক্রিকেট সচিব আবার জয়টা উৎসর্গ করলেন সৃঞ্জয় বোসকে। বললেন, “এই জয়টা আমি আমার ছোটবেলার বন্ধু সৃঞ্জয়কে উৎসর্গ করলাম। ওর প্রচুর অবদান রয়েছে। টিমটার জন্য যা যা করেছে, সেটা কয়েকটা শব্দে বোঝানো যাবে না।” সঙ্গে জুড়ে দিলেন, “এটা ক্রিকেটারদের জয়। টিমের জয়। সবাই সেরাটা দিয়েছে।”

ছবি-শংকর নাগ

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement