সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ তাঁকে বলেন আত্মপ্রচারলোভী, কেউ তাঁকে বলেন অহংকারী। কিন্তু এসবের মধ্যে সবাইকেই একবাক্যে স্বীকার করতে হবে জনসেবামূলক কাজে সিআর সেভেনের জুড়ি মেলা ভার। কোনও বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য করায় হোক কিংবা অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসায় অনুদান করা, সবেতেই নিঃসংশয়ে এগিয়ে আসেন পর্তুগালের অধিনায়ক। বিশ্বকাপের আগেও তিনি যাদের কাছ থেকে প্রেরণা খুঁজে নিচ্ছেন তারা অন্যরকম। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শিবিরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে লড়াইয়ের প্রেরণা দিচ্ছে তাঁর দেশের বিশেষ ভাবে ক্ষমতাসম্পন্ন খুদে সমর্থকরা। পর্তুগাল অধিনায়ক জানিয়েছেন, অনুশীলনের মাঝে নিজেকে ফুরফুরে রাখছেন এই সব খুদে সমর্থকদের সঙ্গে সময় কাটিয়েই।
সোমবারই প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি। পশ্চিম লিসবনের একটি স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি শিবির চলছে রোনাল্ডোদের। আর মঙ্গলবার পর্তুগালের অনুশীলনে হাজির হন লিসবনের দুই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন শিশু। দুজনের গায়েই ছিল পর্তুগালের জার্সি, গলায় দলের প্রতীকযুক্ত স্কার্ফ। অনুশীলন শেষে সবাইকে চমকে দিয়ে দুই খুদের সঙ্গে দেখা করেন পর্তুগিজ মহাতারকা। রোনাল্ডোকে দেখে রীতিমতো চমকে যায় জোয়াও এবং ফ্রান্সেসকা নামের ওই দুই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন শিশু। তাদের চমকে দিয়েই বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান রোনাল্ডো। দু’জনের সঙ্গেই তোলেন সেলফি। সঙ্গে দুই খুদে ভক্তের জার্সিতে নিজের সইও দেন তিনি। জোয়াও ও ফ্রান্সেসকার অভিভাবকদের কাছ থেকে দু’জনের চিকিৎসার ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের রোনাল্ডো বলে যান, ‘‘এই খুদে ভক্তরাই আমার প্রেরণা। ওদের লড়াই মনের জোর বাড়ায়।’’ দুই খুদে তাদের স্বপ্নের নায়কের কাছে আবদার করেন বিশ্বকাপ ট্রফিটি পর্তুগালে আনার জন্য।
পর্তুগালের ফুটবল ফেডারেশনও বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন এই দুই শিশুর সঙ্গে তাদের অধিনায়কের বন্ধুত্ব দেখে আপ্লুত। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ফ্রান্সেসকা ও জোয়াওয়ের সঙ্গে রোনাল্ডোর ছবি দিয়ে পোস্ট করেছে ফেডারেশন। সঙ্গে লেখা হয়েছে ‘স্বপ্ন সকলেই দেখে। সাহসীরাই সেই স্বপ্নকে সত্যি প্রমাণিত করে। জাতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানাতে এসে জোয়াও আর ফ্রান্সেসকা আজ যেমন আলাপ করল ওদের নায়ক রোনাল্ডোর সঙ্গে।’ দুই খুদের এই সাহসিকতাই এখন প্রেরণা জোগাচ্ছে রোনাল্ডোকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.