সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধোনিভক্তরা যতই তাঁকে দেশের জার্সি গায়ে আরও কয়েক বছর দেখতে চান না কেন, এক ব্যক্তি ধোনির বিদায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি যুবরাজের বাবা যোগরাজ সিং।
ছেলে যুবরাজ সিংয়ের কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়িয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি সামনে একরকম আর ভিতরে ঠিক তার উলটো। তাঁর মন কলুষিত। ছেলের অবসর ঘোষণার পর এমন কথাই বলেছিলেন যোগরাজ সিং। এমনকী তিনি এও দাবি করেছিলেন, আস্তে আস্তে অনেক অজানা কথাই প্রকাশ করবেন। আর বিশ্বকাপের মাঝে ফের বোমা ফাটালেন যোগরাজ সিং।
ধোনিকে যোগ্য জবাব দিতে আম্বাতি রায়ডুকে অবসর থেকে ফিরে আসার অনুরোধ জানান যোগরাজ। তাঁর কথায়, ধোনির মতো ‘খারাপ’ মানুষ চিরকাল রায়ডুর আশেপাশে থাকবেন না। তাই রায়ডুর এখনই ক্রিকেটকে বিদায় জানানো ঠিক হচ্ছে না। বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে বিকল্প হিসেবে ছিলেন রায়ডু। কিন্তু চোটের জন্য বিজয় শংকর ছিটকে গেলে তাঁকে না ডেকে সুযোগ দেওয়া হয় মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে। আর তারপরই গত সপ্তাহে একরাশ ক্ষোভ আর অভিমান নিয়ে সবধরনের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান রায়ডু। মায়াঙ্ককে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় নির্বাচকদেরও একহাত নেন তিনি। ভারতীয় মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান অবসর নেওয়ার পরই টুইটারে তাঁকে নিজেদের দেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে আইসল্যান্ড ক্রিকেট। রায়ডুকে আইসল্যান্ডের হয়ে খেলার প্রস্তাবও দেওয়া হয়।
রায়ডুর সঙ্গে অবিচারের নেপথ্যে যে ধোনিই রয়েছেন, তেমনটাই মনে করেন যোগরাজ সিং। তিনি বলেন, “দেশের হয়ে রায়ডুর খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। রনজি ট্রফি, ইরানি ট্রফি, দুলীপ ট্রফিতে অপরাজিত ১০০, ২০০, ৩০০ রান করে যেতে হত। ওর মধ্যে অনেকখানি ক্রিকেট বাকি ছিল। রায়ডু, খুব তাড়াহুড়োর মধ্যে এত বড় সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললে। অবসর বাতিল করে বাইশ গজে ফিরে এস আর দেখিয়ে দাও তুমি কত বড়মাপের ক্রিকেটার।” তারপরই ক্যাপ্টেন কুলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘খারাপ’ লোকেরা চিরকাল আশেপাশে থাকে না। ধোনিও সারাজীবন থাকবেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.