সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রমেশ পওয়ারের পর হরমনপ্রিত কৌরদের কোচের জন্য বিসিসিআইয়ের প্রথম পছন্দ ছিলেন গ্যারি কার্স্টেন। তাঁর জমানাতেই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এমএস ধোনির টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু মিতালিদের কোচিং করাতে তিনি রাজি না হওয়ায় বাজিমাত করলেন ডব্লিউভি রমন। দিনভর নাটকের পর তাঁকে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হল।
বৃহস্পতিবার গভীররাতে ই-মেল করে ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হল মিতালিদের নতুন কোচ হিসাবে রমনকে বেছেছে সিওএ নিযুক্ত অ্যাড হক কমিটি। যে কমিটিতে আছেন প্রবাদপ্রতিম কপিল দেব, ভারতের প্রাক্তন কোচ অংশুমান গায়কোয়াড় ও মহিলা ক্রিকেটের অতীত নক্ষত্র শান্তা রঙ্গস্বামী। মনোজ প্রভাকর-সহ জনা দশেক প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়ার পর তিনজনকে চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কার্স্টেন, রমন ও ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। কিন্তু কোচ হিসেবে আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত কার্স্টেন। ভারতীয় মহিলা টিমের জন্য আরসিবির চাকরি ছাড়তে চাননি তিনি। যে কারণে শেষ পর্যন্ত রমনকেই কোচ হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। একবার দেখা নেওয়া যাক রমনের ক্রিকেটীয় প্রোফাইল।
১. ১৯৬৫ সালের ২৩ মে তামিলনাড়ুতে জন্ম নেওয়া রমন খেলেছেন ১১টি টেস্ট এবং ২৭ ওয়ানডে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেছেন তিনি।
২. বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে শুরু করলেও পরে ব্যাটসম্যান হিসেবেই পরিচিতি পান তিনি।
৩. চেন্নাইয়ে অভিষেক টেস্টেই নজর কেড়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৩ রান করেছিলেন।
৪. জাতীয় দলে ওপেনারের ভূমিকাতেও অনেকবার দেখা গিয়েছে তাঁকে। ১১ টেস্টে তাঁর সংগ্রহ ৪৪৮ রান। ১৯৯৭ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলেন তিনি।
৫. প্রথম ভারতীয় হিসেবে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। সেঞ্চুরিয়নে তাঁর ১১৪ রানে ভর করেই সেই ম্যাচে ভারত জিতেছিল চার উইকেটে। তবে একদিনের ক্রিকেটে সেটিই তাঁর একমাত্র সেঞ্চুরি।
৬. ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭৯৩৯ রান করেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ১০৩টি উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
৭. ১৯৯৯ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরই কোচিংয়ের দুনিয়ায় পা রাখেন। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় গ্রেড থ্রি লেভেলের কোচিং প্রোগ্রাম করেন।
৮. ২০১৩ সালে আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সহকারী কোচ ছিলেন। পরে কেকেআরের ব্যাটিং কোচও ছিলেন তিনি।
৯. রনজিতে তামিলনাড়ু ও বাংলার কোচিংয়ের পাশাপাশি ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন রমন। তবে বাংলায় কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা বিশেষ সুখকর হয়নি। তাঁর আমলেই রনজি ট্রফির এলিট ক্লাস থেকে নেমে গিয়েছিল বাংলা। ফলে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
তাহলে মিতালিদের হেডস্যার হিসেবে রমনকে বেছে নেওয়ার প্রধান কারণ কী? মনে করা হচ্ছে, এর পিছনে মূলত দুটি কারণ রয়েছে। এক, কোচিং সার্কিটে তাঁর বিশাল অভিজ্ঞতা। দুই, কপিল দেবদের অ্যাড হক কমিটি সিওএ-কে প্রস্তাব দেয় এমন কাউকে কোচ করা হোক যিনি কিনা ব্যাটসম্যান ছিল। প্রসাদ বোলার ছিলেন। কিন্তু রমন প্রাক্তন জাতীয় ওপেনার হওয়ায় খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি হটসিটের দৌড়ে চলে আসেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.