স্টাফ রিপোর্টার: আগের ম্যাচগুলিতে রান পাননি। এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল, চোট সারিয়ে উঠলেও এখনও তিনি পুরো ফিট নন। তবে মাঠের বাইরে এ সব সমালোচনাকে দূরে সরিয়ে বুধবার সৈয়দ মুস্তাক আলিতে ৬২ বলে ১২৯ করে চমক দিলেন ঋদ্ধিমান। সাধারণত এই সব ম্যাচে ভাল খেলার পর কেউ খুব একটা কথা বলেন না। তার উপর ঋদ্ধির মত কম কথার মানুষ তো নিজেকে আরও গুটিয়ে রাখবেন। কিন্তু তা করলেন না ঋদ্ধি। খোলস ছেড়ে বাইরে এসে বললেন, “এই সেঞ্চুরি অভিনন্দনকে উৎসর্গ করলাম।”
কে এই অভিনন্দন? ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট। পুলওয়ামা প্রত্যাঘাতে তাঁকে নিয়ে এদিন দুপুর থেকে আলোচনা। পাকিস্তান দাবি করছে, তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তবে ভারতের দাবি অভিনন্দন নিখোঁজ। মাঠ ছেড়ে আসার পর সন্ধ্যায় ঋদ্ধি বলেন, “আমার এই ইনিংস ওঁকেই উৎসর্গ করছি।”
এবার খেলার কথায় আসি। ১২৯ রানের ইনিংসটার পর ঋদ্ধিমান সাহা নিয়ে মনে হয় না কেউ কথা তুলবেন। হোক না প্রতিপক্ষ অরুণাচল প্রদেশ। কিন্তু গত কয়েকদিন বঙ্গ শিবিরে চেহারা সামনে আনলে অন্য কথা বলতে হবে। অসমের কাছে হারের পর ড্রেসিংরুমে ফেটে পড়েছিলেন কোচ অরুণ লাল। সেদিনই অঙ্কটা সামনে আসে। বাকি তিন ম্যাচ জিতলেই হবে না। বড় ব্যবধানে প্রতিপক্ষকে মারতে হবে। না হলে বিজয় হাজারে, রনজির পর টি-২০ থেকেও বিদায়! এই অঙ্কর সামনে দাঁড়িয়ে ঋদ্ধির ইনিংস বাংলাকে জেতালই না, নকআউটে যাওয়ার রাস্তা দেখাল।
টি-২০ তে ঋদ্ধি ওপেন করতে পছন্দ করেন। নিজের পছন্দের অর্ডারে ফিরে ধ্বংসাত্মক মেজাজে ব্যাটিং। হাফসঞ্চুরি ২২ বলে। সেঞ্চুরি ৪৭ বলে। আগের ম্যাচগুলোতে অনেক নিচে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। এবার ওপেনে ফিরে সাফল্য। তাঁর সাফল্যে খুশি বাংলা শিবির। ঋদ্ধিকে ওপেনে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা যে কাজে দিয়েছে, তা স্বীকার করলেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। বললেন, “ঋদ্ধিকে ওপেনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কাজে দিল। ওর ক্রিজে সময় কাটানো দরকার ছিল। দারুণ ব্যাট করল। দুর্দান্ত ইনিংস।” ঋদ্ধি ছাড়া রান পেলেন বিবেক সিং (৪৯)। বাংলার ২৩৪/৬-র জবাবে অরুণাচল ১২৭/৪। যা পরিস্থিতি তাতে শেষ দুটো ম্যাচেও বাংলাকে বড় ব্যবধানে জিততে হবে। বৃহস্পতিবার মনোজরা খেলবেন ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে। শেষ ম্যাচ বাংলার প্রতিপক্ষ ওড়িশা। বঙ্গ অধিনায়ক বললেন, “শেষ দুটো ম্যাচ আমাদের কাছে ডু অর ডাই। প্রত্যেককে সেরাটা দিতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.