Advertisement
Advertisement

Breaking News

শাকিব আল হাসান

বুকিদের সাথে কী কথা হয়েছিল শাকিবের? ফাঁস চাঞ্চল্যকর ‘হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট’

বুকিদের সঙ্গে দেখাও করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

Whatsapp conversations reveal the bookie contacted Shakib

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 30, 2019 9:52 am
  • Updated:October 30, 2019 9:53 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুকিদের প্রস্তাব পাওয়ার পরও তা প্রকাশ্যে না আনার অপরাধে সমস্তরকম ক্রিকেট থেকে ২ বছরের জন্য নির্বাসিত হতে হয়েছে শাকিব আল হাসানকে। যদিও, তাঁর শাস্তি একবছর পর্যন্ত জারি থাকবে। সমস্ত অপরাধ স্বীকার করায় দ্বিতীয়বছর তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে না। কিন্তু, কী এমন অপরাধ করেছিলেন শাকিব? বুকিদের সাথে কী কথা হয়েছিল তাঁর? প্রকাশ্যে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের তথ্য।


আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-র মাঝামাঝি সময় মিস্টার আগরওয়াল নামের এক বুকির সঙ্গে বেশ কিছু হোয়াসঅ্যাপ মেসেজ আদানপ্রদান হয় শাকিবের। ২০১৮-র জানুয়ারি মাসেও হোয়াটসঅ্যাপে আদানপ্রদান হয় মেসেজের। ২০১৮-র ১৯ জানুয়ারি শাকিবকে আগরওয়াল মেসেজ করে জিজ্ঞেস করেন “আপনি কি এখন আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন? নাকি আমরা আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা করব?” এই মেসেজ সম্পর্ক আইসিসিকে কিছু বলেননি শাকিব। ২০১৮-র ২৩ জানুয়ারি আরও একটি মেসেজ আসে। তাতে জিজ্ঞেস করা হয়, “ভাই এই সিরিজে কি আমরা কাজ করতে পারি।” শাকিব নিজেই জানিয়েছেন এরপর আগরওয়াল তাঁর কাছে ম্যাচের ভিতরকার বেশ কিছু তথ্য জানতে চান। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে শাকিবের কাছে ওই বুকি, জানতে চান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে কোনও একজন ক্রিকেটার খেলবেন কিনা! শাকিব এসব তথ্য আইসিসিকে দেননি। এর কিছুদিন পরেই শাকিবের অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস, তাঁর বিটকয়েন বা ডলার অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চান ওই বুকি। তখন শাকিব বলেন, “আমি আগে আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই।” অথচ, এসব কোনও কথাই তিনি আইসিসিকে জানাননি। জানা গিয়েছে, গত বছর জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং জিম্বাবোয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ (দু’বার) এবং ২০১৮ আইপিএল (হায়দরাবাদ বনাম পাঞ্জাব) মিলিয়ে মোট তিনবার গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েছিলেন শাকিব। কিন্তু কোনওবারই মুখ খোলেননি তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শেখ কামাল কাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ, লি টাকের হ্যাটট্রিকে ধরাশায়ী মোহনবাগান ]


আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার ২.৪.৪ নম্বর কোড অফ কনডাক্ট অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি কোনও ধরনের অপরাধমূলক প্রস্তাব ক্রিকেটারকে দেয়, তবে তা অবিলম্বে আইসিসিকে বিস্তারিত জানাতে হবে। জানাতে দেরি করলে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। বিশেষ পরিস্থিতিতে তা জানাতে দেরি হলে তা বিবেচনা সাপেক্ষ। কিন্তু অকারণ বিলম্ব হলে কড়া পদক্ষেপই করে আইসিসি। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস থেকে পাঁচ বছরের নির্বাসনের শাস্তি হতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement