সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: আটচল্লিশ ঘন্টাও হয়নি। বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে শিলিগুড়ির বিস্ময়-বালিকা রিচা ঘোষ। ইতিমধ্যেই রীতিমতো সেলিব্রিটির মতো ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে রিচার। মিলছে স্পনসরশিপের প্রস্তাবও। ব্যক্তিগত স্পনসর হতে চেয়ে বিজ্ঞাপনদাতাদের ফোন আসা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারই একটি বিখ্যাত বহুজাতিক ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা রিচার ব্যক্তিগত স্পনসর হতে চেয়ে ফোন করেছে তাকে।
স্পনসরশিপের ব্যপারটা অবশ্য পুরোটাই সিএবির (The Cricket Association Of Bengal, Eden Garden) উপর ছেড়ে দিয়েছেন রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ। মেয়ে সেলিব্রিটি হলেও এখনও নাবালিকা। ব্যক্তিগত ভালো-মন্দ লাভ-লোকসান বিচার করার বয়স হয়নি তার। এখনও পর্যন্ত তার ফ্রেন্ড-ফিলোজফার-গাইড বাবা মানবেন্দ্রবাবুই। স্পনসরের ব্যপারটা নিয়ে তিনি নিজে খানিকটা দ্বিধায় আছেন। কারণ, রিচা ইতিমধ্যেই একটি সংস্থার সরঞ্জাম ব্যবহার করে। যদিও তাকে কতটা স্পনসর বলা চলে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। প্রথমবারের জন্য এত বড় স্পনসরশিপের সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা। তবে, তাড়াহুড়ো করতে চান না মানবেন্দ্রবাবু। পুরো ব্যপারটাই তিনি ছাড়ছেন সিএবি এবং শুভানুধ্যায়ীদের উপর।
তাছাড়া, এখন এসব নিয়ে বেশি ভেবে সময় নষ্ট করতে চায় না রিচা। আপাতত সে ফোকাস করতে চাইছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজে। বিশ্বকাপের আগেই এই ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে ভারতীয় মহিলা দল। বিশ্বকাপের ১৬ জনের দলে থাকলেও শেষমেশ প্রথম এগারোয় সুযোগ মিলবে কিনা, তা জানা নেই। তাই নিজেকে প্রমাণ করার জন্য ত্রিদেশীয় সিরিজই ভরসা রিচার। সামান্য সুযোগেই নিজেকে প্রমাণ করতে চায় শিলিগুড়ির এই বিস্ময় বালিকা। সে বলছে, “সুযোগ পেলে ভালো খেলতে হবে। বাকিটা টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে।” তবে, এসব নিয়ে একেবারেই বেশি ভাবিত নয় রিচা। কারণ, “বেশি ভাবলে টেনশন বাড়বে।” তাই আপাতত লক্ষ্য, যত বেশি সম্ভব অনুশীলনের মধ্যে থাকা। তবে চোট–আঘাত যাতে না আসে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। মঙ্গলবারই কলকাতা ফেরার কথা ছিল রিচার। যদিও, শেষমুহূর্তে বিমানের টিকিট না মেলায় সে শহরে আসছে বুধবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.