২৫ বছরের কেরিয়ারে ইতি, অবসর ঘোষণা রনজি ট্রফির সফলতম তারকার

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার ওয়াসিম জাফর (Wasim Jaffer)। ৪২ বছর বয়সে নিজের বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন রনজি ট্রফির সবচেয়ে সফল তারকা।

After 25 years of playing professional cricket, time has come to say goodbye. Thank you @BCCI @MumbaiCricAssoc, VCA, my teammates, media and fans. This is my official statement. pic.twitter.com/xP3wL4u70s

Advertisement

— Wasim Jaffer (@WasimJaffer14) March 7, 2020

আরও পড়ুন:

• রোহিতদের বিরুদ্ধে খেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মহড়া, ভারত সফরের দল ঘোষণা ইংল্যান্ডের
• পাকিস্তান কি আদৌ নিরাপদ? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পরিদর্শনে নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিরা

ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়াসিমের কেরিয়ার শুরু হয় সেই ১৯৯৬-৯৭ মরশুমে। কেরিয়ারের শুরুর দিকে তিনি খেলতেন মুম্বইয়ের হয়ে। তারপর বিদর্ভের হয়ে খেলেছেন বেশ কয়েকবছর। ঘরোয়া ক্রিকেটে মোট ২৬০ ম্যাচ খেলেছেন ওই ওপেনার। ৪২১ ইনিংসে তাঁর মোট রান ১৯ হাজার ৪১০। ঘরোয়া ক্রিকেটে আর কোনও তারকা এই সংখ্যাটির ধারেকাছে যেতে পারেননি। এত দীর্ঘ কেরিয়ার হওয়া সত্ত্বেও পঞ্চাশের উপরে গড় বজায় রেখেছেন জাফর। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর সেঞ্চুরি সংখ্যা ৫৭। অর্ধশতরান ৯১টি। সর্বোচ্চ স্কোর ৩১৪ রান।

[আরও পড়ুন: রনজি ফাইনালের আগে সুখবর, ফের বাবা হলেন ঋদ্ধিমান সাহা]

এতো গেল ঘরোয়া ক্রিকেট। এই শতকের গোড়ার দিকে জাতীয় দলের জার্সিতেও নিয়মিত খেলতেন জাফর। দেশের হয়ে ৩১টি টেস্ট খেলেছেন। তাতে এগারোটি অর্ধশতরান এবং পাঁচটি শতরানও রয়েছে তাঁর। ২০০০ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় জাফরের। ওয়ানডে অভিষেক হয় ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ওয়ানডে ক্রিকেটে তাঁর কেরিয়ার খুব বেশিদূর গড়ায়নি। মোটে ২টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে, যে সময় টেস্ট ক্রিকেটে ভারত নির্ভরযোগ্য ওপেনার খুঁজছিল, সেসময় নির্বাচকদের ভরসার পাত্র ছিলেন জাফর। পরে গম্ভীরের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কেরিয়ারে ইতি পড়ে যায়। ২০০৮ সালে শেষবার টিম ইন্ডিয়ার সাদা জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন জাফর।

[আরও পড়ুন: ২০টি ছক্কা হাঁকিয়ে অপরাজিত ১৫৮ রান, টি-টোয়েন্টিতে ঝড় তুললেন হার্দিক]

অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে জাফর জানিয়েছেন, “সবার আগে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তাঁর কৃপাতেই ক্রিকেট খেলার জন্য যে প্রতিভা দরকার, তা আমার ছিল। একইসঙ্গে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমার পরিবার মা-বাবা এবং ভাইদের। একইসঙ্গে আমার স্ত্রীকেও। তাঁদের উৎসাহেই আমি এতদিন খেলাটা চালিয়ে যেতে পেরেছি।” একই সঙ্গে জাফর ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর সমস্ত স্তরের কোচেদের।