ফাইল চিত্র।
আলাপন সাহা: অনিল কুম্বলে? শোনা গেল, তিনি নিজেই আর আগ্রহী নন। রাহুল দ্রাবিড়? এখনই সিনিয়র টিমের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। বীরেন্দ্র শেহবাগ? ভালরকম আগ্রহী। ভিভিএস লক্ষ্মণ (VVS Laxman)? এখনও কথা হয়নি বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে।
উপরিলিখিত নামগুলো নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে ভালরকম চর্চা চলছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতীয় টিমের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri) দায়িত্ব ছাড়ছেন। শুধু শাস্ত্রী একা নন। সাপোর্ট স্টাফদের বেশিরভাগই আর দায়িত্বে থাকছেন না। বোলিং কোচ ভরত অরুণও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব ছাড়ছেন। ফিল্ডিং কোচ এস শ্রীধরও তাই। বর্তমান সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম বিক্রম রাঠোর। তিনি ব্যাটিং কোচ হিসাবে শুধু থেকে যাচ্ছেন।
রাঠোর ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন বছর দেড়েক হল। ফলে রাঠোরের মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। রাঠোর নিজে থাকতে চান। আর ভারতীয় বোর্ডে খবর নিয়ে জানা গেল, কর্তারাও রাঠোরকে রাখার ব্যাপারে আগ্রহী। বাকি সাপোর্ট স্টাফের পুরোটাই বদলে যাচ্ছে। বোর্ডের (BCCI) অন্দরে খবর নিয়ে জানা গেল, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বোর্ড আবেদনপত্র ছাড়বে। আবেদন করার জন্য একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকবে। তার মধ্যে যাঁরা যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের ইন্টারভিউতে ডাকা হবে।
একটা সময় অনিল কুম্বলের নাম ভেসে উঠছিল। বলাবলি চলছিল, বিরাট কোহলিদের হেডস্যর হিসাবে ফের দায়িত্ব নিতে পারেন কুম্বলে। এর আগেও তিনি ভারতীয় দলের কোচ হয়েছিলেন। চার বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে কুম্বলে আর কোচ হচ্ছেন না। শোনা গেল, তিনি নিজেই নাকি আগ্রহী নন। এই মুহূর্তে তিনি পাঞ্জাব কিংসের কোচ। তিনি আইপিএলেই থাকতে চাইছেন। রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, তিনি এখনও সিনিয়র টিমের দায়িত্ব নিতে চান না। বরং বাকি দুটো নাম নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। বীরেন্দ্র শেহবাগ (Virender Sehwag) আর ভিভিএস লক্ষ্মণ। শেহবাগ এর আগেও কোচ হওয়ার ব্যাপারে প্রচণ্ড আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শাস্ত্রী কোচ হয়ে যান। শোনা গেল, এবারও শেহবাগ নাকি ভালরকম আগ্রহী।ভিভিএস লক্ষ্মণের ব্যাপারটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। এটা নিয়ে বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে ভিভিএসের এখনও পর্যন্ত কোনও কথা হয়নি বলেই শোনা গেল।
শোনা যাচ্ছে, আর কিছুদিনের মধ্যেই পুরো ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে। তবে এর মধ্যে আবার মাইক হেসনের মতো কোনও কোনও বিদেশি কোচের নামও ভেসে উঠছে। কিন্তু বোর্ড কর্তাদের স্ট্যান্ড পরিষ্কার। তাঁদের প্রথম পছন্দ দেশীয় কোচ। কর্তাদের বক্তব্য হল, যদি এখন ভারতীয় কোচেদের দায়িত্ব দেওয়া না হয়, তাহলে আর কবে দেওয়া হবে? কেন আরও বেশি করে ভারতীয় কোচেদের তুলে নিয়ে আসা হবে না?তাই বোর্ড কর্তারা ভারতীয় কোচেদের বেশি প্রাধান্য দিতে চান। তবে যদি দেখা যায়, সেরকম বড় নাম আবেদন করেননি, তখনই শুধুমাত্র বিদেশি কোচেদের নাম বিবেচ্য হবে। তাছাড়া নয়।
এ তো গেল হেড কোচ। বোলিং কোচ আর ফিল্ডিং কোচের প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। বোলিং কোচ হিসাবে অনেকে জাহির খানের নাম ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু যা খবর, তাতে জাহির বোলিং কোচ হচ্ছেন, এরকম কোনও সম্ভাবনা অন্তত এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। বরং মহম্মদ কাইফের (Mohammad Kaif) ফিল্ডিং কোচ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কাইফের কোচিংয়ে ভালরকম অভিজ্ঞতাও রয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। যা শোনা যাচ্ছে, তাতে ফিল্ডিং কোচ হওয়ার দৌড়ে কাইফ বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন। যাইহোক, অপেক্ষা এখন আর মাসখানেকের। তারপরই বোঝা যাবে রবি শাস্ত্রী-ভরত অরুণদের জায়গায় কারা আসছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.