বিরাট কোহলি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ছম্যাচ জিতে প্লে অফে পৌঁছনোর পর আচমকাই স্বপ্নভঙ্গ। রাজস্থান রয়্যালসের (Royal Challengers Bengaluru) কাছে পরাজিত হয়ে চলতি আইপিএলেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে আরসিবিকে। অরেঞ্জ ক্যাপের তালিকায় শীর্ষে থেকেও দলকে এভাবে ছিটকে যেতে দেখে মানতে পারেননি বিরাট কোহলি। খেলার শেষদিকে তাঁকে কার্যতই মেজাজ হারাতে দেখা যায়। সেই মুহূর্ত ভাইরাল (Viral video) নেট ভুবনে।
ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, বাউন্ডারি লাইনের ধারে হেঁটে আসছেন ‘কিং’। রাজস্থান ইনিংসের বয়স তখন ১৭ ওভার। যশ দয়ালের বলে পর পর দুটি বাউন্ডারি হয়েছে। কুড়ি বলে আর বাকি কুড়ি। আর তাতেই মেজাজ সপ্তমে চড়ে যায় বিরাটের (Virat Kohli)। তাঁকে দেখা যায় বোতলের পানীয় খেতে খেতে সতীর্থ ও সাপোর্ট স্টাফদের উদ্দেশে বিড়বিড় করতে। তিনি যে ঠিক কী ধরনের ভাষা ব্যবহার করছিলেন তা বিরাটের শরীরী ভাষা থেকেই স্পষ্ট বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ভিডিওয় বিরাটকে হাত দেখিয়ে ইশারা করেও হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
Bro abuses his own teammates, seniors and cricket supporters. This is not aggression, this is a mental illness 🤦pic.twitter.com/hiwNqNFoHj
— Gagan🇮🇳 (@1no_aalsi_) May 23, 2024
আর এই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অনেক নেটিজেনের দাবি, ‘অ্যাগ্রেশন’ বলে চালানো যায় না এই ধরনের মানসিকতা। এভাবে মাঠের মধ্যেই সতীর্থদের উদ্দেশে এমন আচরণ কখনওই বিরাট কোহলির মতো সিনিয়র খেলোয়াড়ের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়। অনেকে লেখেন, টিম স্পিরিটের এই অবস্থা বলেই এভাবে ছিটকে যেতে হয়েছে বেঙ্গালুরুকে। প্রসঙ্গত, বুধবারই আরও একটি দৃশ্য দেখতে পান দর্শকরা। রাজস্থানের কাছে হারার পর উইকেটের বেল ফেলে দেন বিরাট। অনেকের অনুমান, এভাবেই স্বপ্নভঙ্গের বেদনা প্রকাশ করেন কিং কোহলি। কিন্তু কেবল এইটুকুই নয়, হারের আগেই আশু পরাজয়ের জ্বালাতেও যে তিনি নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন তা ভিডিও থেকে পরিষ্কার। হতাশা গোপন যেন করে রাখাই সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে।
এক সময়ে আইপিএল (IPL 2024) থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে টানা ছম্যাচ জিতে প্লে অফে ওঠেন ফ্যাফ ডু’প্লেসিসরা। কিন্তু তবুও বরাবরের মতোই শূন্য হাতে ফিরতে বিরাটকে। সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে কমলা টুপি জিতলেও যে সেই ক্ষতে প্রলেপ পড়বে না তা এদিনের ভিডিও থেকে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.