সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল ভারতীয় দল। বিদেশের মাটিতে অধিনায়ক হিসেবে সেটাই ছিল বিরাট কোহলির (Virat Kohli) প্রথম টেস্ট সিরিজ। টিম ইন্ডিয়া ২-০ ব্যবধানে হারলেও দুরন্ত ফর্মে ছিলেন কোহলি। কিন্তু সেই সিরিজেই এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছিল ভারতীয় ব্যাটারের। মিচেল জনসনের (Mitchell Johnson) সঙ্গে দ্বৈরথে তাঁর চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করেছিল।
দুজনেই বিখ্যাত মাঠের মধ্যে তাঁদের আগ্রাসী মেজাজের জন্য। বিরাট আর জনসনের দ্বন্দ্বে ২০১৪-র টেস্ট সিরিজ আলাদা মাত্রা পেয়েছিল। অ্যাডিলেডের ওভালে প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুজন। ৩১ তম ওভারে জনসন একটি জোরালো বাউন্সারে স্বাগত জানান ভারতীয় অধিনায়ককে। বিরাট মাথা নামিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলেও বলটি সোজা এসে আছড়ে পড়ে হেলমেটে। যার ফলে তাঁর বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ কমতে শুরু করেছিল।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সেই ঘটনার কথা স্মরণ করেন কোহলি। তিনি বলেন, “তার আগের দুমাস ধরে আমি ক্রমাগত ভেবেছিলাম কীভাবে জনসনকে সামলানো যায়। কিন্তু মাথায় ধাক্কা খাওয়ার পর সব কিছু গুলিয়ে যায়। সেটা এতটাই জোরালো ছিল যে আমার বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে। যদিও সেটা আমি তখন টের পাইনি।”
“Isko mein itna maarunga naa, and that’s exactly what I did”
Kohli saab talking about the 2014 Australia tour and his battle against Mitchell Johnson 👑💪🏻 pic.twitter.com/geP35IUz08
— Aani⁷ ★彡 (@wigglyywhoops) April 11, 2024
এত বড় ধাক্কা কীভাবে সামলালেন বিরাট? উত্তরের মধ্যেই লুকিয়ে আছে তাঁর শক্তিশালী চরিত্রের প্রমাণ। মাথায় ধাক্কা খাওয়ার পরই লাঞ্চ বিরতি ছিল। সেই সময় তিনি ভাবতে শুরু করেন, এর বদলা নেবেন। সেই শক্তিতেই মাঠে ফিরে আসেন কোহলি। তিনি বলেন, “আমার কাছে মাত্র দুটো উপায় ছিল। হয় লড়ো, নয়তো পালাও। আমার মনে হচ্ছিল, ওর সাহস কীভাবে হয় মাথায় মারার? গোটা সিরিজ জুড়ে ওকে প্রচুর মারব।” নিজের কথা রেখেছিলেন ‘কিং’। ভারত হারলেও সেই সিরিজে মোট ৬৯২ করেন কোহলি। কিন্তু পরের ইংল্যান্ড সফরে চূড়ান্ত ব্যর্থ হন। ৫ টেস্টে সংগ্রহ করেছিলেন মাত্র ১৩৪ রান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.