Advertisement
Advertisement

শেষ ওভারে কেদারের বদলে বিজয় শংকর কেন? ফাঁস করলেন কোহলি

কী বললেন ক্যাপ্টেন?

Virat Kohli on Vijay Shankar's last over
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:March 6, 2019 6:40 pm
  • Updated:March 6, 2019 6:40 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: খেলা শেষে ম্যাচের দুই নায়ক- বিরাট কোহলি আর বিজয় শংকরকে চাহাল টিভিতে নিয়ে চলে এলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। শুরুতেই রসিকতা। চাহাল জিজ্ঞাসা করলেন, ‘বিরাট ভাই, তুমি চল্লিশতম সেঞ্চুরি করলে, আমার থেকে চল্লিশটা বেশি…’ যা শুনেই হাসিতে ফেটে পড়লেন বিরাট। তারপর চাহাল বললেন, ‘প্রচণ্ড গরম ছিল। কাজটা কঠিন ছিল। নিজের ইনিংস নিয়ে কিছু বলো।’’ বিরাটও স্বীকার করে নিলেন নাগপুরের কন্ডিশনে ব্যাটিং করা বেশ কঠিন হচ্ছিল। বললেন, “বেশ গরম ছিল। উইকেট স্লো ছিল। বিশেষ করে ২৫ ওভারের পর পিচ আরও স্লো হয়ে গিয়েছিল। আমার তখন শুধু একটাই ভাবনা ছিল, শেষপর্যন্ত উইকেট থাকব। যাতে রানটা আড়াইশোতে নিয়ে যাওয়া যায়। এই উইকেটে সেটা চ্যালেঞ্জিং একটা টার্গেট হত। আমার আর বিজয়ের দারুণ একটা পার্টনারশিপ হচ্ছিল। ও খুব ভাল ব্যাট করছিল। দারুণ ফ্লো-তে ছিল। বিজয় আমার কাজ অনেক সহজ করে দিচ্ছিল। তখন মনে হচ্ছিল আমরা ২৭০-২৭৫ করে দেব। দুর্ভাগ্যবশত ও রান আউট হয়ে যায়। তারপর আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। এই গরমে একশো ওভার মাঠে থাকতে হয়েছে আমাদের।একটু ক্লান্ত লাগছে। তবে জিততে পারলে তার অনুভূতিটা একেবারে অন্যরকম। বিজয়কে কৃতিত্ব দেব। ও যেভাবে ব্যাট করল আর শেষ ওভারে চাপের মধ্যে যেরকম বোলিং করল, ওর মানসিক কাঠিন্য কতটা, সেটা প্রমাণ করে দিল।”

[কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরির দিন অন্যভাবে নজর কাড়লেন ধোনি]

বিরাটকে ছেড়ে এবার বিজয়ের সঙ্গে রসিকতা চাহালের। বললেন, ‘বিজয় এটা কিন্তু হিন্দি চ্যানেল। হিন্দিতে কথা বলতে হবে। তা কী মনে হচ্ছে, ওইরকম একটা চাপের ওভার করা না হিন্দিতে কথা বলা, কোনটা বেশি চাপের?’ বিজয়ের উত্তর- ‘হিন্দিতে বলা।’ এবার বিজয়ের থেকে শেষ ওভারে সম্পর্কে জানতে চান চাহাল। বিজয় বললেন, “আমি শেষ ওভারটা করার জন্য তৈরি ছিলাম। ৪৩ ওভারের পর থেকেই নিজেকে প্রিপেয়ার করছিলাম। শেষ ওভারে ১০ রান ডিফেন্ড করতে হবে এটা ভেবেই ফোকাস করছিলাম। শেষ ওভারে কী করব, সেটা ভেবেছি। সেটাই এক্সিকিউট করার চেষ্টা করেছি।” শেষ ওভারের আগে অবশ্য ভাবনা-চিন্তা চলছিল। কাকে দিয়ে ওভারটা করানো হবে? বিজয় না কেদার? শেষমেশ বল তুলে দেওয়া হয় বিজয়ের হাতে। বিরাট বললেন, “আলোচনা হয়েছিল। একটা জিনিস মাথায় ছিল স্পিনারের বল ব্যাটসম্যানের জোনে পড়ে গেলে স্টেপআউট করে ছয় মেরে দিতে পারে। পেসারদের বল রিভার্স হচ্ছিল। ফলে বল সুইং করলে মিস হওয়ার একটা চান্স ছিল। রিভার্সের জন্যই কেদারের বদলে বিজয়কে দিয়ে শেষ ওভার করানো হয়েছে। আর শেষ ওভারে ১১ রান বাকি থাকায় কিছুটা চিন্তা কম ছিল। তখন ব্যাটসম্যানকে একটা বড় শট খেলতেই হত। আর ওদের দুটো উইকেট ছিল। জানতাম আর একটা উইকেট চলে গেলে ম্যাচ চলে আসবে।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement