সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বাংলার বাঘ’দের বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যর্থ হয়েছেন। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে গিয়েছেন প্যাভিলিয়নে। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে ফের সাফল্যের শিখর ছুঁলেন বিরাট কোহলি। বাংলাদেশকে হারাতেই তৈরি হল নয়া ইতিহাস।
পুরো তিনদিনও খেলা হল না হোলকার স্টেডিয়ামে। ভারতীয় পেস অ্যাটাকের সামনে টিকতেই পারলেন না বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। তার উপর মায়াঙ্ক একাহাতেই ভারতকে রানের পাহাড়ে পৌঁছে দিয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর অনেক আগেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। আর তার সঙ্গেই কোহলির মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। ঘরের মাঠে এই নিয়ে টানা ছ’টি টেস্ট জিতল টিম ইন্ডিয়া। ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশিবার ইনিংসে টেস্ট জেতার রেকর্ড গড়লেন কোহলি। এর আগে এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর নেতৃত্বে ঘরের মাটিতে দল ন’বার ইনিংসে টেস্ট জিতেছিল। বিরাট এই নিয়ে জিতলেন দশমবার। আট ও সাতবার প্রতিপক্ষকে ইনিংসে হারিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্ব ক্রিকেটে এই তালিকায় অবশ্য সাত নম্বরে রয়েছেন কোহলি। সবচেয়ে বেশিবার (২২) ইনিংস জয়ের মালিক দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রেম স্মিথ।
তবে একা কোহলি নন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নয়া রেকর্ড গড়লেন শামিও। ফের বুঝিয়ে দিলেন, কেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের জার্সিতে তিনিই সেরা। শনিবার ইন্দোরে বাংলাদেশের চার ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। আর তাতেই গত বছরে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলা সেরা বোলারের শিরোপা পেয়ে গেলেন বাংলার পেসার। গত দু’ছরে ২০টি ইনিংসে ৫১টি উইকেট নেন শামি। গড় ১৭। তালিকায় তাঁর পরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিনস।
There it is the 8th wicket for #TeamIndia. Shami has his 4th and we are two wickets away from victory 💪💪#INDvBAN pic.twitter.com/XhJOgXM5r0
— BCCI (@BCCI) November 16, 2019
এক ইনিংস এবং ১৩০ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল। ২৪৩ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। পুরস্কার নিতে এসে জানালেন, প্রথমবার ভারতের গোলাপি বলের টেস্টের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। ইডেন টেস্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই ড্রেসিংরুমে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। ওপেনারের কথাতেও তা স্পষ্ট। বললেন, “ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আশা করি, যেন এভাবেই চালিয়ে যেতে পারি। মোটিভেট করার মতো কাউকে পাওয়া গেলে খুব ভাল লাগে। দেড়শো করার পর নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকা কোহলিই উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এবার দিন-রাতের টেস্টের অপেক্ষায় রয়েছি। বেঙ্গালুরুতে রাহুল দ্রাবিড় ফ্লাড লাইটে খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তিনটে সেসন গোলাপি বলে খেলেছিলাম। দ্বিতীয় টেস্ট নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.