ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে প্রত্যাবর্তন। ২০২১-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলে ফেরার আশা একপ্রকার শেষই হয়ে গিয়েছিল বরুণ চক্রবর্তীর। তিনি ফিরলেন, উইকেট পেলেন, টিম ইন্ডিয়াকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে সাহায্য করলেন। এ যেন পুনর্জন্ম হওয়ার গল্প। কিন্তু কামব্যাকটা এত সহজ ছিল না। চার বছর আগে রীতিমতো হুমকি পেতেন। অজানা নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হত, দেশে না ফেরার।
আর আজ তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের এক্স ফ্যাক্টর। কিন্তু কেমন ছিল সেই কালো অধ্যায়? সম্প্রতি সেই বিষয়ে আলোকপাত করলেন রহস্য স্পিনার। তিনি বলেন, “আমি তখন অন্ধকারে ডুবে ছিলাম। অবসাদে ডুবে গিয়েছিলাম। কারণ আমি বিশ্বকাপে নিজেকে প্রমাণ করতে পারিনি, একটাও উইকেট তুলতে পারিনি। তিন বছর পর বিশ্বকাপেও আমাকে ডাকা হয়নি। তাই আমার মনে হয়, দলে ঢোকার চেয়েও এই কামব্যাক আরও কঠিন ছিল।”
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা একাদশেও আছেন বরুণ। তিন ম্যাচে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৯টি। বল হাতে তাঁর ঘূর্ণিতে জব্দ হয়েছেন তাবড় ব্যাটাররা। অথচ ২০২১-র অধ্যায়ের পর এ যেন কার্যত অসম্ভব ছিল। তিনি বলেন, “সেই সময় ফোনে আমাকে ফোনে হুমকি দেওয়া হত। বলা হত, ‘ভারতে ফিরবে না। চেষ্টা করলেও দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’ লোকে আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে খুঁজত। আমি লুকিয়ে থাকতাম। যখন এয়ারপোর্ট থেকে ফিরছিলাম, কয়েকজন আমাকে অনুসরণ করত। তবে এটাও বুঝি, ভক্তরা কতটা আবেগপ্রবণ।”
কিন্তু কীভাবে কামব্যাক সম্ভব হল? বরুণ বলছেন, “২০২১-র পর আমি জীবনযাত্রা বদলেছি। আগে এক সেশনে ৫০টা বল করতাম, তারপর ১০০টা শুরু করি। নির্বাচকরা আমাকে ডাকবে কিনা ভাবিনি। এক সময়ের পর মনে হয়েছিল সব শেষ। কিন্তু আইপিএল জেতার পরই ডাক আসে।” আর সেই ডাকেই ভাগ্য বদলে গেল। বরুণ ম্যাজিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও ফিরল ভারতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.