অভিজ্ঞান সাহা: আইসিসি এখনও কিছু জানায়নি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও এ নিয়ে মুখ খোলেনি।বলেছে আমরা আশাবাদী।আসলে তাদের মাথায় ঘুরছে ভারত–অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট সিরিজ।ডিসেম্বরে ভারতীয় দলকে একবার দেশে নিয়ে যেতে পারলেই হল।এ সবের মধ্যে বিশ্বকাপ তাই অথৈ জলে। তা হলে কি অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (ICC World T-20) অস্ট্রেলিয়ায় হবে না? এর উত্তর যাঁদের দেওয়ার কথা, তাঁরাও নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন।
সবাই বলবেন বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে মানুষ দিশেহারা। তার মধ্যে আবার ক্রিকেট। এর উত্তরে একটা কথাই বলা যায়, এই মূহুর্তে ভারতের মতো অবস্থা নয় অস্ট্রেলিয়ার। তারা নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। দেশে লকডাউন চললেও তা অনেকটাই শিথিল। পুরো দেশটাই যেন গ্রিনজোনে। সোমবার দুপুরে অস্ট্রেলিয়ায় ফোন করে জানা গেল, ২৮ মে সেখানে শুরু হচ্ছে রাগবি টুর্নামেন্ট। জুনের প্রথম সপ্তাহে মাঠে গড়াবে ফুটবল। দেশের অবস্থা খারাপ হলে এই দুটি টুর্নামেন্ট শুরু করা যেত?রাগবিতে আবার নিউজিল্যান্ড থেকে একটি দল এক সপ্তাহ আগে নিউ সাউথ ওয়েলসে পৌঁছেছে। মেলবোর্নের দলটিও সেখানে গিয়ে প্র্যাকটিস করছে। ফাঁকা মাঠে ঘোড় দৌড় শুরু হয়েছে মাসখানেক আগে। এ সবই জানিয়ে দিচ্ছে, লকডাউনের মধ্যেও অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা কেমন। রাগবি ও ফুটবল খালি স্টেডিয়ামে হবে। এগুলি যখন শুরু করা যাচ্ছে, তখন ক্রিকেট নয় কেন? বলা হচ্ছে, এই দুটি টুর্নামেন্ট চলবে নভেম্বর পর্যন্ত।তাই ক্রিকেট খেলার জন্য মাঠ কোথায় পাওয়া যাবে!
অক্টোবরের মাঝামাঝি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কথা। তার আগে ১৫টি দেশকে কোয়ারাইন্টিনে রাখতে হবে। দু’সপ্তাহ বিভিন্ন হোটেলে রেখে টুর্নামেন্টে নামানো। এটা সম্ভব? ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (Cricket Australia) অবশ্য আশা জাগিয়ে রেখেছে। সে দেশের মানুষও জানেন না, বিশ্বকাপ আদৌ হবে কিনা। দেশের পরিস্থিতির খোঁজ নিতে গিয়ে তাঁরাই প্রশ্ন করছেন, আপনাদের কাছে কী খবর। বিশ্বকাপ কি হতে পারে?
অস্ট্রেলিয়ায় খোঁজ নিতে গিয়ে অন্য একটা বিষয় সামন এল। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল করা নিয়ে নাকি কথা শুরু হয়ে গিয়েছে। অক্টোবরে না হলে আগামি বছরের শুরুতেও বিশ্বকাপ করা যাবে না। কারণ, ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ড পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে ভারতে আসবে। তাই পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার মাঠে বিশ্বকাপ করা যেতে পারে। তার জন্য ভারতকে রাজি হতে হবে। কারণ, পরের বছর ভারতে টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা। ভারত যদি ছেড়ে দেয়, তাহলেই পরের বছরের বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া যাবে। এ বছর অক্টোবরে বিশ্বকাপ না হলে ভারতের মাঠে আইপিএল করা সম্ভব। হাতে পাঁচ মাস সময়। দেশের পরিস্থতি নিশ্চয় বদলে যাবে। সবাই চাইছেন, ছোট বা বড়, যাই হোক না কেন, দেশের মাঠে আইপিএল হোক। এ নিয়ে অবশ্য চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। পুরোটাই আলোচনার স্তরে।
অবাক লাগছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একবারও বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলছে না। তারাও চাইছে, দেশের মাঠে ডিসেম্বরে কোহলিদের নিয়ে সিরিজ করতে। সেটা সম্ভব হলে আর্থিক দিক থেকে তারা ভাল জায়গায় থাকবে। হাতে আট মাস সময়। ভারতীয় বোর্ডও রাজি। দু’সপ্তাহ ক্রিকেটারদের কোয়েরাইন্টাইনে রেখে সিরিজ শুরু করতে অসুবিধা নেই। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সেদিকে তাকিয়ে।বিশ্বকাপ চু্লোয় যাক। কোহলি বনাম স্মিথ হলে অনেক লাভ। সেটা খালি মাঠে হলে তো বোনাস। ডলার আরওবাড়বে। যা তাদের তো এখন এটাই টার্গেট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.