সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের(Donald Trump) হাত ধরে উদ্বোধন হল আহমেদাবাদের সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়ামের। সেই উপলক্ষে সেজে উঠেছে গোটা আহমেদাবাদ। নাচে-গানে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়েছে মোতেরা। আমন্ত্রণ পেয়েছেন কয়েক হাজার অতিথি। বহু মানুষ এসেছেন নিজের উদ্যোগে। সব মিলিয়ে স্টেডিয়ামে লক্ষাধিক লোক। অথচ, সেই স্টেডিয়ামের এক কোণে ঠাঁই হল না এর মূল স্থপতি মৃগেশ জয়কৃষ্ণের (Mrugesh Jaikrishna)।
একপ্রকার নিজের উদ্যোগেই তিনি তৈরি করেছিলেন মোতেরা স্টেডিয়াম (Motera Stadium)। সেই ১৯৮৩ সালেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে আহমেদাবাদে জোড়া স্টেডিয়ামের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছিলেন মৃগেশ। সেসময়ের কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী মাধবসিন সোলাঙ্কি হাজার বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। তখন মাত্র ৮ মাস ১৩দিনে তৈরি করা হয় মোতেরা স্টেডিয়াম। যা আজ মহিরূহে পরিণত হয়েছে। রূপ পেয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। অথচ, সংস্কারের পর মোতেরা স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক পেলেন না সেই মৃগেশই।
মৃগেশ যে শুধু মোতেরার স্থপতি তাই নন। তিনি একসময় কাজ করেছেন বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। কাজ করেছেন গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবেও। কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। মৃগেশ তাঁদের জানিয়েছেন, “না, আমি আমন্ত্রণ পায়নি। তবে, মোতেরাকে এত বড় হতে দেখে আমার সেই দুঃখ হারিয়ে গিয়েছে। মোতেরায় এত বড় অনুষ্ঠান হচ্ছে যে, আমার আমন্ত্রণ পাওয়া না পাওয়াটা একেবারেই গুরুত্বহীন।”
জয়কৃষ্ণ জানিয়েছেন, ১৯৮৩ সালের মুখ্যমন্ত্রী মাধবসিন সোলাঙ্কি থেকে শুরু করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক ছিল। সোলাঙ্কির কথায়,”মাধবসিন সোলাঙ্কি আমার প্রস্তাবের গুরুত্ব বুঝে আমাদের স্টেডিয়াম তৈরির জমি দিয়েছেন। হাজার বিরোধিতা সত্ত্বেও আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও আমার ভাল সম্পর্ক ছিল। ও সবসময় ক্রিকেট খেলার কথা বলতেন। আজ মোতেরা বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়াম। যা প্রত্যেক গুজরাটির জন্য গর্বের বিষয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.