সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিকেটের মক্কা ইংল্যান্ডের লর্ডসে ২০০২-এর ১৩ জুলাই ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডকে ধরাশায়ী করে ব্যালকনিতে জার্সি খুলে উড়িয়েছিলেন তৎকালীন ভারত অধিনায়ক। সেদিন যেন জার্সি নয়, বিদেশের মাটিতে দাদাগিরির ধ্বজা উড়িয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়৷ ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতির সরণিতে এতটুকুও ফিকে হয়নি দিনটা৷ ভারতীয় দলের সেই সাফল্যের কাহিনির পরতে পরতে ছিল লক্ষ লক্ষ দেশবাসীর স্বপ্নপূরণের ছবি। আর সেই স্বপ্নপুরণের অন্যতম কারিগর ছিলেন মহম্মদ কাইফের (Mohammad Kaif)। ‘দাদা’র দেওয়া মন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে সেদিন এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন কাইফ। তিনি বলছিলেন, সেই ম্যাচ জয়ের পর যখন তিনি এলাবাদ ফিরলেন, তখন তাঁকে স্বাগত জানানো হয়েছিল সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) মতো।
২০০২ সালে দাঁড়িয়ে মাত্র ৭৫ বলে ৮৭ রানের সেই মহারাজকীয় ইনিংস ক্রিকেট সমর্থকরা তো বটেই, কাইফ নিজেও জীবনভর মনে রাখতে চান। সেদিনের কথা মনে হলে আজও গর্বে ফুলে ওঠে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন এই তারকার বুক। ঐতিহাসিক ন্যাটওয়েস্ট (Natwest series) জয়ের সেই স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে কাইফ বলছিলেন, “সেদিনের কথা বলতে গেলে আমার প্রথমেই মনে পড়ে, আমি যখন ব্যাট করতে নামছিলাম, তখন স্টেডিয়াম থেকে দর্শকরা ফিরে যাচ্ছিলেন। শচীন যখন আউট হয়ে গেল, তখন আমার বাড়ির লোকজনও টিভির সামনে থেকে উঠে গিয়েছিল। শচীন আউট হওয়ার পর আমার বাবা গোটা পরিবারকে নিয়ে পাশের সিনেমা হলে গিয়েছিলেন ‘দেবদাস’ দেখতে গিয়েছিলেন। আমি অবশ্য ওদের ক্ষমা করে দিয়েছি।”
কাইফ বলছিলেন,”আরও একটা কথা আমার মনে পড়ছে। আমি যখন এলাহাবাদ ফিরলাম, একটা হুডখোলা জিপে দাঁড় করিয়ে আমাকে নিয়ে শোভাযাত্রা করা হল। রাস্তার দু’ধারে মালা হাতে, ফুল হাতে দাঁড়িয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। সবাই খুশিমুখে তাকিয়ে ছিল, স্লোগান দিচ্ছিল। মাত্র ৫-৬ কিলোমিটার রাস্তা যেতে আমার ৩-৪ ঘণ্টা সময় লেগে গেল। আমি যখন ছোট ছিলাম একবার দেখেছিলাম, অমিতাভ বচ্চনকে এভাবে স্বাগত জানানো হয়েছিল এলাহাবাদে। সেদিন আমার নিজেকে অমিতাভ বলে মনে হয়েছিল।” আসলে লর্ডসে সেদিন কাইফের ইনিংস সত্যিই মহারাজকীয় ছিল। স্বাভাবিকভাবেই এলাহাবাদে ফিরতেই কাইফকে নিয়ে আবেগে ভেসে গিয়েছিলেন বাসিন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.