ইংল্যান্ড: ১৬৬/৪ (মঈন আলি-৫১*, মালান ৪১)
নিউজিল্যান্ড: ১৬৭/৫ (কনওয়ে-৪৬, মিচেল-৭২*)
৫ উইকেটে জয়ী নিউজিল্যান্ড
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। দু’ বছর আগের সেই ফাইনাল হয়েছিল রুদ্ধশ্বাস। ম্যাচ গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। টানটান উত্তেজনায় ভরা সেই ম্যাচে শেষ হাসি তোলা ছিল ইংল্যান্ডের জন্য। নিউজিল্যান্ডকে রানার্স হয়েই সেবার সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। চলতি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (ICC T20 World Cup) সেই দুই দলই ফের মুখোমুখি হয়েছিল আবু ধাবির সেমিফাইনালে। শেষ চারের লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিলেন কেন উইলিয়ামসনরা। যদিও দুটো ভিন্ন ফরম্যাট। কিন্তু এই দুই দল মুখোমুখি হলেই লর্ডসের সেই ফাইনালের স্মৃতি ভেসে ওঠে ক্রিকেটপাগলদের মনে। উইলিয়ামসনরাও কি সেই হারের প্রতিশোধ নিতে চাননি? বুধবার মরুশহরে জিমি নিশাম ও মিচেলের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকে (England) ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেল নিউজিল্যান্ড। দু’বছর আগে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে ভাগ্য সহায় হয়নি উইলিয়ামসনদের। এবার কি ভাগ্যদেবী সহায় হবেন তাঁদের? সময় এর উত্তর দেবে।
বুধবার টস জিতে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ডকে। জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টো ওপেনিং জুটিতে ৩৭ রান করেন। বেয়ারস্টোকে (১৩) ফেরান মিলনে। বাটলারকে বিপজ্জনক দেখাচ্ছিল। সোধিকে মারতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন বাটলার (২৯)। ইংল্যান্ডের রান তখন ২ উইকেটে ৫৩। এর পরে ডেভিড মালান ও মইন আলি ৬৩ রান জোড়েন। মালান ৩০ বলে ৪১ রান করে ডাগ আউটে ফেরেন। চারটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ইংল্যান্ডের ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেন মঈন আলি। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেন লিভিংস্টোন। দু’জনে দ্রুত ৪০ রান জোড়েন। জিমি নিশামের বলে আউট হন লিভিংস্টোন (১৭)। অ্ন্যদিকে মঈন আলি ৩৭ বলে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তিনটি বাউন্ডারি ও ২টি বিশাল ছক্কা মারেন মঈন।
১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড (New Zealand) তৃতীয় বলেই উইকেট হারায়। বিপজ্জনক মার্টিন গাপ্তিলকে (৪) শুরুতেই তুলে নেন ক্রিস ওকস। যে কোনও ফরম্যাটের ক্রিকেটে কিউয়ি অধিনায়ক উইলিয়ামসন ভাল ব্যাট। এদিন উইলিয়ামসনও (৫) দ্রুত ফিরে গেলেন ওকসের বলে। নিউজিল্যান্ড তখন ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। স্কোরবোর্ড বলছে নিউজিল্যান্ডের রান তখন মাত্র ১৪। ডারিল মিচেল ও কনওয়ে ইনিংস গোছানোর কাজ করেন। দু’জনে ৮৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। স্টেপ আউট করে লিভিংস্টোনকে মারতে গিয়ে আউট হন কনওয়ে (৪৬)। ৯৫ রানে তৃতীয় উইকেট যায় নিউজিল্যান্ডের। আস্কিং রেট ক্রমশ বাড়তে থাকে। চাপ বাড়তে থাকে ব্ল্যাক ক্যাপসদের উপরে। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ফিলিপস আউট হন (২)। ১১ বলে ২৭ রান করে নিশাম পালটা মারের খেলা শুরু করেন। তাতেই চাপ অনুভব করে ইংল্যান্ড। হাতের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচে ফেরে নিউজিল্যান্ড।আদিল রশিদের বলে ফিরতে হয় বিপজ্জনক নিশামকে। তখনও অবশ্য কিছু কাজ বাকি ছিল। নিশামের ওই ঝোড়ো ব্যাটিং নিউজিল্যান্ডকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়। শেষ ২ ওভারে জেতার জন্য দরকার ছিল ২০ রান। বাকি কাজটা সারেন মিচেল (অপরাজিত ৭২)। এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড।
New Zealand are in the final of the #T20WorldCup 2021 🎉#ENGvNZ | https://t.co/zXAsuGVcjZ pic.twitter.com/2PKjPlgTLX
— T20 World Cup (@T20WorldCup) November 10, 2021
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.