Advertisement
Advertisement
আইপিল

চিনা স্পনসর বাতিল না করার জের, আইপিএল বয়কটের ডাক আরএসএস অনুমোদিত সংগঠনের

আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত দেশবিরোধী, বলছে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ।

Swadeshi Jagran Manch calls for IPL Bycott after Sponsorship debate
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 4, 2020 1:19 pm
  • Updated:August 4, 2020 1:20 pm

স্টাফ রিপোর্টার: গভর্নিং কাউন্সিল বৈঠকে আইপিএলের দিনক্ষণ ঘোষণার পরই টুর্নামেন্ট বয়কটের ডাক উঠে গেল! এবং সেই ডাক দিল আরএসএস অনুমোদিত স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ বা এসজিএম (Swadeshi Jagaran Manch)!

পুরো ঘটনাটা কী?
রবিবাসরীয় আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বৈঠকে ঠিক হয়ে যায় যে, ভিভোকেই প্রধান স্পনসর হিসেবে রাখা হবে আইপিএলের (IPL)। সেই চিনা মোবাইল সংস্থা ভিভো, ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষের আবহে যে সংস্থাকে বয়কটের ডাক উঠেছিল। কারণ ভারত সরকার টিকটক-সহ ৫৯ চিনা অ্যাপকে সেই সংঘর্ষের আবহে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেয়। যে ঘোষণার পর দেশজুড়ে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক ওঠে। ভারতীয় বোর্ডের কাছেও আমজনতার দাবি ছিল, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের জেরে যখন কুড়ি জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন, তখন তাঁদের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। ভিভোকে (Vivo) আইপিএলের প্রধান স্পনসরশিপ থেকে হঠানো উচিত। কিন্তু বোর্ড তাতে কোনও কর্ণপাত করেনি। চাপে পড়ে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকবে বলে ছেড়ে দেয়। সেই বৈঠক বসে রবিবার। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্যি যে, গভর্নিং কাউন্সিল বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ভিভোকে রাখা হবে। চিনা মোবাইল সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাস্কে লিখতে হবে নাম, ক্রিকেটারদের ট্রেনিংয়ের জন্য একাধিক নিয়ম আনল বোর্ড]

মুশকিল হল, বোর্ডের এ হেন সিদ্ধান্ত মোটেও ভালভাবে নেয়নি কোনও কোনও রাজনৈতিক দল। আইপিএলের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তিতে এখনও পর্যন্ত বোর্ডকে দু’হাজার কোটি টাকা দেওয়া ভিভোকে থেকে যেতে দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেটে পড়েন সমর্থকরা। কেউ কেউ হুমকি দেন যে, বোর্ডের লজ্জা হওয়া উচিত। তারা যেন মাথায় রাখে, ভিভোকে বয়কট না করলে আইপিএলকেই বয়কট করা হবে! এ দিন আরএসএস (RSS) অনুমোদিত স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ ভিভো বিরোধী অভিযানে নামে। সংস্থার সহ-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, “যে সময়ে দেশের অর্থনীতিকে চিনা আধিপত্য থেকে মুক্ত করার চেষ্টা চলছে, ভারত সরকার যখন যাবতীয় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে দেশের বাজার থেকে চিনা পণ্য হঠাতে, তখন আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এ হেন সিদ্ধান্ত দেশের ভাবনার বিরোধী।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “ভারতবাসীর উচিত আইপিএল বয়কট করা। টিভিতে না দেখা।”

[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে তিনিই ছিলেন পাকিস্তানের ‘সুপারফ্যান’ সেই ক্রিকেটপ্রেমী এখন বহু মানুষের ‘মসিহা’]

শেষপর্যন্ত কী হবে, সময় বলবে। কিন্তু গভর্নিং কাউন্সিলের অবস্থা বিশেষ সুবিধের নয়। আমিরশাহী আইপিএলের যে ‘এসওপি’ বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওরের জন্য অধীর অপেক্ষায় ফ্র্যাঞ্চাইজিরা, তা
এখনও তৈরি করে উঠতে পারেনি গভর্নিং কাউন্সিল। বৈঠক শেষে একদিন কেটে যাওয়ার পরেও না। যা খবর, আরও আটচল্লিশ ঘণ্টা লাগবে ‘এসওপি’ তৈরি করতে। তার পর ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসা হবে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement