সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্দোরের পিচ ‘পুওর’। তৃতীয় টেস্টের অব্যবহিত পরেই জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি (ICC)। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড জানিয়েছেন, ব্যাটার ও বোলারদের জন্য সমান সমান ভারসাম্য ছিল না পিচে। শুরু থেকেই স্পিনাররা সাহায্য পাচ্ছিলেন এই পিচে। কিন্তু ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর ভারতীয় ব্যাটারদেরই সমালোচনা করেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (West Indies) ও অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বহু কঠিন পিচে অতীতে খেলেছেন গাভাসকর। তাঁর ব্যাটে রানও ছিল। সেই তিনিই ইন্দোরের ঘূর্ণি পিচে ভারতীয় ব্যাটারদের অয়ারাম-গয়ারাম ব্যাটিং দেখে নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। তীব্র কটাক্ষ করেছেন ভারতীয় ব্যাটারদের। ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১০৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত করে ১৬৩ রান।
গাভাসকর বলেন, ”টস জিতে যদি ১০৯ রানে আউট হয়ে যেতে হয়, তাহলে তো বোলারদের জন্য কিছুই রাখতে পারলাম না। বোলারদের আক্রমণাত্মক ফিল্ডিংও দিতে পারলাম না। সব সময়ে চাপে থাকতে হয়। যদি ১৮০ রান করত, তাহলে অন্য কথা ছিল। এটা একটা কারণ। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটাররা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল, হামে তো আউট হি হোনা হ্যায়। ফলে শট খেলে কেন রান করবো না। চেতেশ্বর পূজারা, মার্নাস লাবুশানে, ট্রেভিস হেড দেখিয়ে দিয়েছে সোজা ব্যাটে খেললে হয়তো পরাস্ত হতে হবে কিন্তু ধৈর্য ধরে খেললে রান পাওয়া যাবে।”
ইন্দোরের পিচ নিয়ে প্রথম দিন থেকেই চর্চা হচ্ছে। বাইশ গজ নিয়ে তীব্র আলোচনায় বিরক্ত হন রোহিত শর্মা। তিনি নিজেও খেলার শেষে বলে ফেলেন, ভারতের মাটিতে খেললে তো পিচের সুবিধা নেবই। দেশের মাটিতে খেললে বড্ড বেশি পিচ নিয়ে আলোচনা হয়।” পিচ প্রসঙ্গে ‘লিটল মাস্টার’ বলেন, ”নাগপুর, দিল্লি ও ইন্দোরের পিচের মধ্যে সব থেকে খারাপ ছিল এখানকার বাইশ গজ। নাগপুর ও দিল্লির পিচে সামান্য টার্ন ছিল তবে ইন্দোরে প্রথম আধ ঘণ্টায় যতটা বল ঘুরেছে, অতটাও ঘোরেনি নাগপুর ও দিল্লিতে। এখানকার পিচ খারাপই ছিল। যে কোনও ব্যাটারই এই পিচে ব্যাট করতে সমস্যায় পড়বে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.