স্টাফ রিপোর্টার: করোনার জেরে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ জটিল পরিস্থিতির শিকার। ব্যতিক্রম কেন হবে ক্রীড়াক্ষেত্র? ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক (Sports manufacturers) সংস্থাগুলিও কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সামনে দাঁড়িয়ে। আগামী দিনে কোম্পানিগুলোর ভবিষ্যৎ কী নিজেরাই জানে না। বলতে পারছে না, সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের আগামী দিনে চাকরি থাকবে কি না। তবে হিসাব কষে দেখা গিয়েছে লকডাউনের কারণে ৬০০-৭০০ কোটি টাকা ক্ষতির সামনে পড়ল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো।
পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে তাতে ধরে নেওয়া যায় মে মাসেও লকডাউন চলবে। সুতরাং মার্চ থেকে মে মাস পুরোপুরি ক্রীড়া শিল্প স্তব্ধ থাকছে। হিসাব কষে দেখা গিয়েছে, এই তিনটে মাসেই ক্রীড়া ইন্ডাস্ট্রি রমরমিয়ে চলতো। তবু এই তিনটে মাসের ক্ষতি হয়তো পুষিয়ে নেওয়া যাবে। তবে এরপরও পরিস্থিতি না পালটালে এই ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই, সঙ্গে যুক্ত থাকা শ্রমিকরা মুখ থুবড়ে পড়বে। মিরাটের এসজি কোম্পানি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআইকে (BCCI) যাবতীয় বল সরবরাহ করে। বাৎসরিক ব্যবসার পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার। কোম্পানির বাৎসরিক আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ আসে মার্চ-মে মাসে। তবে এখন যাবতীয় কাজ বন্ধ। যাবতীয় ফ্যাক্টরিতে তালা পড়ে গিয়েছে।
ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ইন্ডাস্ট্রি ভারতের দুটো জায়গায় মূলত রয়েছে। এক, জলন্ধর। দুই, মিরাট। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবতীয় স্পোর্টস গুডস এই দু’টো জায়গা থেকে রপ্তানি করা হয়। জলন্ধরে অবস্থিত ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি অরবিন্দ আবেরল, ব্রিটিশ কোম্পানি নিকলস
জানেনা কীভাবে তারা এই পরিস্থিতি সামাল দেবে। সাধারণত এই সময় যাবতীয় ক্রীড়া সরঞ্জাম রফতানি করা হয়। জাহাজে করে পাঠানো হয় ইউরোপে। সেখানে খেলাধুলো যেহেতু বন্ধ তাই পাঠানোর কোনও উপায় নেই। জাহাজও যাচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ায় জুলাই মাসের পরে মরশুম শুরু হয়। কেউ জানে না, কত টাকার ক্রীড়া সরঞ্জাম কেনার জন্য অর্ডার আসবে।
জলন্ধরের অরবিন্দর হলেন স্পোর্টস গুডস ম্যানুফ্যাকচার সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য। তিনি আবার এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম অধিকর্তাও। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “যদি পরিস্থিতি কিছুদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয় তাহলে শ্রমিকরা মুখ বুজে মেনে নেবে। নাহলে ব্যপারটা ঘোরালো হতে বাধ্য। তবে এটুকু বলতে দ্বিধা করছি না, তাদের বেতন কাটা যাবেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.