রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: সিরিজ বাতিল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে আগেই। কিন্তু এখনও নিজেদের দেশে ফিরতে পারেননি কুইন্টন ডি ককরা। ঠিক ছিল লখনউ থেকে দিল্লি হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে বিমান ধরবে প্রোটিয়াবাহিনী। কিন্তু দিল্লি হয়ে ফিরতে নারাজ ক্রিকেটাররা। তাই মঙ্গলবার কলকাতা হয়ে দেশে ফিরবেন তাঁরা।
করোনার কামড়ে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। দুনিয়াজুড়ে বাতিল হয়ে গিয়েছে একের পর এক স্পোর্টস ইভেন্ট। ব্যতিক্রমী নয় ভারতও। চলতি মাসে সব ধরনের ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্ট স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে আয়োজিত হতে চলা শুটিং বিশ্বকাপও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। দিন দুয়েক আগেই বিসিসিআই জানিয়ে দেয়, করোনা প্রকোপ থেকে সতর্ক থাকতেই বাতিল করা হয় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ।
এ দেশে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার কথা ছিল দুই দলের। ধরমশালায় প্রথম ম্যাচটি ভেস্তে গিয়েছিল বৃষ্টির জন্য। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল লখনউ ও কলকাতায়। সেই মতো লখনউ পৌঁছেও গিয়েছিল দুই দল। কিন্তু তারপরই বাকি দুটি ম্যাচ বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। বোর্ডের তরফে জানানো হয়, করোনা থেকে সতর্ক থাকতেই এই সিদ্ধান্ত। পরবর্তী কোনও এক সময়ে ফের ভারত সফরে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তখনই ভারতের বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচ খেলবে তারা। ম্যাচ বাতিল হলেও এখনও পর্যন্ত ভারতেই আটকে রয়েছেন ডি ককরা। ঠিক হয়, ১৭ মার্চ দেশে ফিরবেন তাঁরা।
বিসিসিআই জানায়, লখনউ থেকে দিল্লি হয়ে দেশে পাঠানো হবে ডি ককদের। কিন্তু দিল্লিতে যেভাবে করোনা থাবা বসিয়েছে, তাতে রাজধানী হয়ে ফিরতে চাইছেন না প্রোটিয়া তারকারা। তাঁরা জানান, কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে একরাত থেকে পরের দিন দেশে ফিরবেন। তবে শহরের ভিতরের পাঁচতারা হোটেলে ক্রিকেটারদের থাকার প্রস্তাবে আপত্তি করে রাজ্য প্রশাসন। সরকারের পরামর্শ, করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে বিমানবন্দরের কাছের কোনও হোটেলে থাকুক প্রোটিয়াবাহিনী। শেষমেশ সিএবি জানায়, নিউটাউনের একটি হোটেলে থাকবেন ডি ককরা। সোমবার শহরে আসবে গোটা দল। ক্রিকেটারদের জন্য সিএবি থেকে চিকিৎসকও পাঠানো হবে। ১৭ মার্চ দমদম বিমানবন্দর থেকেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবে দল। এমন জরুরি পরিস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে দেশে ফেরাতে সমরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.