সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার প্রকোপ ক্রীড়া দুনিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার জেরে ময়দানের অতীত অনেক অজানা তথ্যই প্রকাশ্যে আসছে। ঠিক যেমন জানা গেল, কেকেআরের অধিনায়ক থাকাকালীন কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। দলের কর্ণধার শাহরুখ খান সৌরভকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও শেষমেশ কথা রাখেননি!
আপাত দৃষ্টিতে কিং খান ও সৌরভের (Sourav Ganguly) মধ্যে সম্পর্ক মন্দ নয়। যদিও কেকেআরে দুই তারকা থাকাকালীন তাঁদের মধ্যে যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা সকলেই জানে। তবে ঠিক কী হয়েছিল দলের মালিক ও অধিনায়কের মধ্যে? অবশেষে তা নিয়ে মুখ খুললেন খোদ প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ। জানালেন, বলিউড বাদশা যা মুখে বলেছিলেন, তা আসলে কাজে প্রকাশ পায়নি। ২০০৮ অর্থাৎ টুর্নামেন্টের মরশুমে নাইটদের নেতা ছিলেন সৌরভ। তবে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে ২০০৯-এ নেতৃত্ব থেকে সরানো হয় দাদাকে। ২০১০-এ আবার দলের দায়িত্ব কাঁধে নেন তিনি। দল সামলানোর বিষয়ে সৌরভ শাহরুখকে (Shah Rukh Khan) বলেছিলেন, পুরো বিষয়টা যেন তাঁর উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বুঝে নেবেন। কিন্তু দিনের শেষে তেমনটা হয়নি। বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলছেন, “একটা সাক্ষাৎকারে দেখেছিলাম চতুর্থ বছর শাহরুখ গৌতম গম্ভীরকে বলছে, ‘এটা তোমার দল। আমি নাক গলাব না।’ এটাই প্রথম মরশুমে আমি শাহরুখকে বলেছিলাম, যে ব্যাপারটা আমার উপর ছেড়ে দাও। কিন্তু তেমনটা হয়নি।”
সৌরভের মতে, যে দলগুলিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তা বা ম্যানেজমেন্ট দল সামলানোর জন্য ক্রিকেটারদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে, তারাই উন্নতি করেছে। যেমন সিএসকে (CSK) পরিচালনায় ধোনি কিংবা মুম্বইয়ে রোহিত শর্মা। এককথায়, দাদা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, নেতার আসনে তিনি থাকলেও দড়ির রাশ ছিল অন্য কারও হাতে। তাই স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ পাননি কখনওই।
দিন কয়েক আগে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া ব্যাখ্যা করেছিলেন, কীভাবে সৌরভকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন কোচ জন বুকানন। উদ্দেশ্য সফলও হয়েছিল। সৌরভের পরিবর্ত কেকেআরের (KKR) দায়িত্ব নিয়েছিলেন ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম। যদিও তাঁর নেতৃত্বের মেয়াদ দীর্ঘ হয়নি। নেতার ভূমিকায় ফিরেছিলেন সৌরভই। তবে ২০১১ থেকে দলের অধিনায়ক হন গৌতম গম্ভীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.