Advertisement
Advertisement

Breaking News

Champions Trophy

খেতাবি লড়াইয়ে ভারতকে এগিয়ে রাখছেন সৌরভ, ফাইনাল নিয়ে নার্ভাস অশ্বিন

মিচেল স্যান্টনারকে দেখে খেলুক ভারত, বলছেন সৌরভ।

Sourav Ganguly says India has advantage in Champions Trophy final

ফাইল ছবি।

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:March 9, 2025 9:19 am
  • Updated:March 9, 2025 9:37 am  

রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: ক্রিকেট মেধা হোক কিংবা নির্ণায়ন-দক্ষতা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যে যাঁর প্রজন্মে অদ্বিতীয়। তাঁদের কথাবার্তা তুখোড়। যথেষ্ট তাতে যুক্তি থাকে। যা অতিশয় আরাম দেয় শ্রবণেন্দ্রিয়কে। তা, এ হেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন দু’জনেই বললেন যে, রোববারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে রোহিত শর্মার ভারতই ফেভারিট। কিন্তু নিউজিল্যান্ডকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। কিছুতেই যাবে না। বরং অশ্বিনের কেমন যেন ভয়ই লাগছে! একটা শিরশিরানি আগাম টের পাচ্ছেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ভারতবর্ষের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্পিনার।

শনিবার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালের চব্বিশ ঘণ্টা পূর্বে, ‘ট্রেলরেজার্স ৩.০’-র মঞ্চে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়ে অশ্বিন বলছিলেন, “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালের কথা ভাবলে নার্ভাস লাগছে। মনে রাখা প্রয়োজন, নিউজিল্যান্ড কিন্তু সেমিফাইনালে অসামান্য খেলেছে। এটা ভেবে ভালো লাগছে যে, ভারত পরপর দু’টো আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে নামছে। যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমরা ঐতিহাসিক এক সন্ধিক্ষণের সামনে দাঁড়িয়ে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড যথেষ্ট শক্তিশালী। কখনও ওদের দেখবেন না পিচ-পরিবেশ নিয়ে কান্নাকাটি করতে। বরং নিজেদের যা সামর্থ্য, তার শ্রেষ্ঠ ব্যবহার করতে জানে ওরা। নিউজিল্যান্ড জানে, কী করে নিজেদের ভেতর থেকে সেরাটা বার করে আনতে হয়।” অর্থাৎ, গ্রুপ পর্বে যতই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে থাকুক ভারত, প্রাক্তন ভারতীয় অফস্পিনার সে তথ্যকে বিশেষ আমল দিচ্ছেন না।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও দেখা গেল, ব্ল‍্যাক ক্যাপসদের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালের কথা ভেবে ঈষৎ দুর্ভাবনায় পড়তে। কথায়-কথায় তিনিও বলে ফেললেন, “এ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডই ভারতের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ। ওদের ব্যাটিং-স্পিন বোলিং, দু’টোই অত্যন্ত ভালো। তবে ভারতের ব্যাটিং তুলনায় শক্তিশালী। আমাদের হাতেও দারুণ সমস্ত স্পিনাররা রয়েছে। নিঃসন্দেহে ভারত ফেভারিট। কিন্তু সঙ্গে এটাও বলব, টুর্নামেন্ট ফাইনালে ফেভারিট বলে কিছু হয় না।” অশ্বিনের মতো সৌরভও বিশ্বাস করেন যে, পরপর তিনটে আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যথেষ্ট গর্ব করার মতো কৃতিত্ব। ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনাল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালেও উঠেছে রোহিত শর্মার ভারত। যার মধ্যে ইতিমধ্যে নীল জার্সি জয়ীর তাজ পেয়েছে একবার-২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। রোববার দ্বিতীয় ট্রফি জয়ের হাতছানি।

সৌরভ বলছিলেন, “ক’টা টিম এ জিনিস করতে পারে বলুন? সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ক্ষমতা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। আমরা এতটাই শক্তিশালী যে, চাইলে দু’খানা টিম নামিয়ে দিতে পারি! কিন্তু লাল বলের ক্রিকেটে সেটা বলা যাবে না। টেস্টে উন্নতি করা প্রয়োজন। সেটা কী ভাবে করবে, রোহিতদের ভাবতে হবে।” তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে একটা জিনিস চান ‘গড অফ অফসাইড’। চান, মিচেল স্যান্টনারকে রোববার দেখে খেলুক ভারত। পরে তিনি বলে দিয়েছেন “ভারতের কাছে বরুণ চক্রবর্তী রয়েছে। যে অবশ্যই বড় অস্ত্র হবে ফাইনালে। কিন্তু মনে রাখা দরকার, নিউজিল্যান্ডের স্পিন আক্রমণও যথেষ্ট ভালো। বিশেষ করে মিচেল স্যান্টনারকে দেখে খেলা দরকার।”

সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সমস্ত ম্যাচ দুবাইয়ে খেলা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটমহলের একাংশ নানাবিধ ওজর-আপত্তি তুলেছে। পাকিস্তানের কোনও কোনও ক্রিকেটার বলেছেন যে, ভারতকে অন্যায় ভাবে ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। যে অভিযোগকে হেলায় মাঠের বাইরে ফেলে দিলেন সৌরভ-অশ্বিন। ভারতীয় অফস্পিনার বেশ তির্যক ভাবেই বললেন, “পাকিস্তান এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক। অথচ তারাই টুর্নামেন্টের বাইরে চলে গিয়েছে। তাই ভারত নিয়ে কী হল না হল, পাকিস্তানের ভাবার তো দরকার নেই। ম্যাচ জিততে গেলে ভালো ক্রিকেট খেলার দরকার পড়ে। ২০২৩ সালে ভারতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আসর বসেছিল যখন, সবচেয়ে বেশি যে টিমটাকে ট্রাভেল করতে হয়েছে, তার নাম ইন্ডিয়া!” সৌরভ আবার বললেন যে, পাকিস্তান না যাওয়ার জন্য অহেতুক ভারতীয় টিমের উপর রাগ দেখিয়ে লাভ নেই। “ভারত সরকার জাতীয় দলকে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দেয় না। ভারতীয় বোর্ড বা টিমের তো কিছু করার নেই এক্ষেত্রে,” বলে দেন সৌরভ। সঙ্গে তাঁর সরস সংযোজন, “আমি তো বরং বলব পাকিস্তান না যেতে পারায়, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শুভমান গিলদের বড় রান করার সুযোগ মিস হয়ে গেল! যা পাটা পিচ পাকিস্তানে। নিত্য সাড়ে তিনশো রান করে উঠছে। সেখানে দুবাইয়ে ২৪০-২৫০ করে রান হচ্ছে। অন্যায্য সুবিধে তা হলে আর কোথায় পেল ভারত?” হে অভিযোগকারীর দল, ঠুটো সওয়াল আরও বাকি আছে নাকি?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement