Advertisement
Advertisement
Sourav Ganguly Jay Shah BCCI

ঝুলেই রইল মেয়াদ সংক্রান্ত মামলার সিদ্ধান্ত, সৌরভের নেতৃত্বেই বার্ষিক সভা বিসিসিআইয়ের

২৪ ডিসেম্বর এজিএমে নেওয়া হবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

Sourav Ganguly and Jay Shah to continue as BCCI president and secretary until next January |Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 10, 2020 10:00 am
  • Updated:December 10, 2020 10:00 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) এবং সচিব জয় শাহর ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা বুধবারও কাটল না। দুই শীর্ষকর্তার ‘কুলিং অফ‘ আটকাতে লকডাউনের অনেক আগে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল বিসিসিআই (BCCI)। গত ২১ এপ্রিল বোর্ডের তরফে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়, করোনা পরিস্থিতি এবং ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সৌরভদের যেন এখনই ‘কুলিং অফে’ না পাঠানো হয়। বরং, সৌরভের মতো যোগ্য ব্যক্তির হাতে বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব থাকলে ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে সেটা ভালই হবে। তাই সৌরভের টিমের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ পর্যন্ত করে দেওয়া হোক। বহুদিনের অপেক্ষার পর বুধবার মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।

কিন্তু বুধবারও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি শীর্ষ আদালত। উলটে মামলাটির শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয় জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। যার অর্থ হল, অন্তত জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সৌরভ এবং জয় শাহই বোর্ডের দায়িত্বে থাকছেন। এবং আগামী ২৪ ডিসেম্বর বোর্ডের যে বার্ষিক সাধারণ সভা হওয়ার কথা, সেটিও হবে সৌরভদের নেতৃত্বেই। সেই বৈঠকে সৌরভের সভাপতিত্ব করায় কোনও বাধা রইল না। উল্লেখ্য, এই বৈঠকেই বোর্ডের যাবতীয় আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ঠিক হবে, আগামী আইপিএলের রূপরেখা। আগামী আইপিএল কত দলের হবে, সেটাও ওই বৈঠকেই ঠিক হওয়ার কথা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আইপিএলে কামব্যাক করছেন সুরেশ রায়না, দীর্ঘদিন পর খেলবেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটও]

লোধা কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থা বা বিসিসিআইয়ে টানা ছ’বছর কোনও পদে থাকলে তাঁকে ৩ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ‘কুলিং অফ’ পিরিয়ডে যেতে হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী জুনে শেষ হয়েছে বোর্ড সচিব জয় শাহর (Jay Shah) মেয়াদ। জুলাইয়ে শেষ হয়েছে বোর্ড সুপ্রিমো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়াদও। সৌরভ বা শাহরা জানতেন, লোধা কমিশনের আইন মানতে হলে বেশিদিন চেয়ারে থাকা যাবে না। তাই গত ডিসেম্বরে বোর্ডের এজিএমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেভাবেই হোক আগামী বছর ছয়েক এই কমিটিকেই দায়িত্বে রাখতে হবে। কারণ, এত কম সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটে কোনও বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাছাড়া তাঁদের কার্যকালের বেশিরভাগ সময়টা করোনা মহামারীর আবহেই কেটে গেল। এই পরিস্থিতিতে যদি তাঁরা দায়িত্ব ছেড়েও দেন তাতেও বোর্ড অথৈ জলে পড়বে। তাই সব দিক ভেবেচিন্তে শীর্ষ আদালতে ‘কুলিং অফ’ তোলার আবেদন জানানো হয়। এপ্রিলে আবেদন করা হলেও এখনও পর্যন্ত মামলাটিতে কোনও রায়দান করতে পারেনি শীর্ষ আদালত। একাধিকবার পিছিয়েছে মামলার শুনানি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement