স্টাফ রিপোর্টার: ক্রিকেট অ্যাডভাইসারি কমিটি সাজানো হয়ে যাওয়ার পর বোর্ডের সামনে এখন সব থেকে বড় কাজ নির্বাচক কমিটি বেছে নেওয়া। দুই নির্বাচকের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে একটাই কারণে। এখনও পর্যন্ত দুই নির্বাচকের জায়গায় লোক পাওয়া যায়নি। দেবাং গান্ধী, শরণদীপ সিং, যতীন পরাঞ্জপের আরও একবছর নেয়াদ আছে। কিন্তু সরে যেতে হবে নির্বাচক কমিটির প্রধান এম এস কে প্রসাদ ও গগন খোডাকে। সেখানে আসার জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন অনেকে। আবেদনকারীদের তালিকায় নাম আছে একাধিক হেভিওয়েটেরও।
তবে, মুশকিল হল আপাতত সাউথ ও সেন্ট্রাল জোন ছাড়া অন্য কোথাও নির্বাচক বদল হবে না। তা হলে ওই দুটি জায়গায় কে আসবে? নয়ন মোঙ্গিয়া থেকে শুরু করে অজিত আগরকর, চেতন চৌহান-সহ আরও অনেকের নাম এসেছে। তবে এঁরা কেউই সুযোগ পাবেন না। কারণ, এঁরা কেউই সাউথ বা সেন্ট্রাল জোনের নন। আর একই জোন থেকে দু’জনকে নির্বাচকের চেয়ারে বসাবে না বোর্ড। তাঁরা আসতে চাইলে আরও একবছর অপেক্ষা করতে হবে।
আপাতত, সেন্ট্রাল ও সাউথ জোন থেকে নতুন নির্বাচক বেছে নেওয়া হবে। এই দুই জোনের নির্বাচক হিসেবে নাম আসছে ভেঙ্কটেশ প্রসাদ (Venkatesh Prasad) ও লক্ষণ শিবারমকৃষ্ণণের (Laxman Sivaramakrishnan)। ভেঙ্কটেশ প্রসাদের নাম অনেক আগেই শোনা যাচ্ছিল। তিনিও চান নির্বাচকের চেয়ারে বসতে। তবে তাঁকে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তিনি এলে দেড় বছরের বেশি নাকি নির্বাচকের চেয়ারে থাকতে পারবেন না। আবার শিবরামকৃষ্ণণকে চাইছেন প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি এন শ্রীনিবাসন। বোর্ডের চেয়ারে না থাকলেও শ্রীনিকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলা যাচ্ছে না। তাই কিছুটা হলেও তাঁকে খুশি করতে প্রসাদের জায়গায় আসতে পারেন শিবরাম। গগনের চেয়ারে রাজেশ চৌহান। আপাতত এটাই ঠিক করেছেন বোর্ড কর্তারা। পরে ঘুঁটির চাল বদলে গেলে আলাদা কথা। তবে মনে হয় না, এই দু’জনকে ছেঁটে অন্য কোনও নাম সামনে আসবে।
তা হলে বাকিরা যে আবেদন করেছেন, তাঁদের কী হবে? বোর্ড কর্তারা আগাম ইন্টারভিউ নিয়ে রাখতে পারেন। কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টে কেউ আটকে গেলে তখন কী করা যাবে। তাই এ নিয়েও এখন আলাদা করে ভাবনা চলছে কর্তাদের। একবছর পর তিনজন নির্বাচককে চেয়ার ছাড়তে হবে। তখন এই তালিকা থেকে কাউকে সেখানে বসাতে পারবে বোর্ড। সেটা অবশ্য সময় বলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.