অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: অনূর্ধ ১৯ বিশ্বকাপের পর এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) সোনা। কিন্তু এখনও অধরা সিনিয়র বিশ্বকাপ। তাই এবার বিশ্বকাপ জয়কেই পাখির চোখ করছেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের উইকেটরক্ষক রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। বুধবার বাড়ি ফিরে সাংবাদিকদের সেকথাই জানিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, “এবার বিশ্বকাপ চাই। সোনা জয়ের পর ড্রেসিংরুমেও আমরা তারই প্রতিজ্ঞা করেছি।”
এদিকে এদিন তাঁকে ব্যাট হাতেও দেখা গেল। সেবক রোডে বক্স ক্রিকেট খেলতে নামে রিচা একাদশ। প্রতিপক্ষ ছিল মেয়র একাদশ। বাবা মানবেন্দ্র ঘোষও ছিলেন মেয়ের বিপরীতে। শুধু তাই নয় মেয়ের বলেই আউট হন তিনি। আর এই প্রীতি ম্যাচে জয় পেল রিচা একাদশ। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দলকে জেতায়।
চিনে এশিয়ান গেমসে প্রথমবার ক্রিকেট খেলতে নেমেই সোনা জয় করে ভারতীয় মহিলা দল। সেই দলের সদস্য রিচা ঘোষ। এদিন সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে যান রিচা। সেখানে তাঁকে নানান সংগঠন সংবর্ধনা দেয়। তারপর বাড়ি ফেরার পথে আরও অনেক জায়গায় সংবর্ধিত হন রিচা। তাঁর ক্লাব বাঘাযতীন অ্যাথলেটিকও তাকে সংবর্ধনা দেয়। বাড়ি ফিরতেই মিষ্টি খাইয়ে মেয়েকে বরণ করে নেন মা স্বপ্না ঘোষ। পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ার্ড কাউন্সিলর মৌসুমি হাজরা।
এরপর বিকেলে খেলতে যান রিচা ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। মেয়র ও ডেপুটি মেয়র দুজনেই ব্যটিং করেন। প্রথমে ব্যাট করে মেয়র একাদশ ১০ওভারে ১০৬রান তোলে। বেশ কিছুক্ষণ রিচা উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কিপিং করেন। এরপর দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। ব্যাট হাতেও কামাল দেখান তিনি। ২০বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান। খেলা শেষে কচিকাঁচাদের সঙ্গে দেদার ছবি তোলেন, সেলফি তোলেন। মেয়র গৌতম দেব রিচার সাফল্য কামনা করে বলেন, “ওকে বলেছি প্র্যাক্টিস জারি রাখতে। আরও অনেক বছর খেলা চালিয়ে যেতে হবে। রিচাকে দেখে আরও অনেক মেয়েরা এগিয়ে আসবে খেলার জন্য। ওর হাতে বিশ্বকাপ উঠুক তা আমরাও চাই।”
রিচার লক্ষ্য এখন শুধুই বিশ্বকাপ। এই সোনা জয় তার প্রথম ধাপ বলে স্পষ্ট জানিয়েদেন রিচা ঘোষ। তিনি বলেন, “সোনা জয় আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে বিশ্বকাপ জেতার জন্য। জয়ের ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে চাই। যেমন ফাইনালে অল্প রান হলেও পিচের চরিত্র বুঝে বোলাররা বল করে আমাদের জিতিয়েছে। এভাবেই আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে চাই। তবে মাঝে দল থেকে বাদ পড়ায় আমি হতাশ হইনি। তখন আরও পরিশ্রম করে নিজের খামতি পূরণ করেছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.