Advertisement
Advertisement
রবি শাস্ত্রী

সৌরভ সম্পর্কে আমার মতামত তো পুরনো টেপ বাজিয়ে শুনলেই হয়: রবি শাস্ত্রী

নয়া প্রেসিডেন্টের জন্য টিম উপকৃত হবে, একান্ত সাক্ষাৎকারে কোহলিদের হেড স্যর।

Sangbad Pratidin exclusive: Ravi Shastri opens up on Sourav Ganguly
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:October 25, 2019 1:11 pm
  • Updated:October 25, 2019 1:11 pm  

অদ্ভুত সমাপতনই বোধহয়। বৃহ্স্পতিবার রবিশংকর জয়দ্রথ শাস্ত্রীকে সকালে যখন ধরা গেল তিনি তখন নিজের বিচ হোম আলিবাগে যাওয়ার তোড়জোড় করছেন। আর ঠিক এক মিনিট আগে গুছিয়ে অভিনন্দনমূলক টেক্সট করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। মুম্বইয়ে কথোপকথনে গৌতম ভট্টাচার্য

প্রশ্ন: সৌরভ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আপনার নীরবতা দেখে জনপ্রিয় ধারণাটাই আরও ডালপালা মেলছে যে আপনাদের মধ্যে খুব তিক্ত সম্পর্ক।
শাস্ত্রী: একেবারেই না। বরঞ্চ একজন ক্রিকেটার হিসেবে সৌরভ প্রেসিডেন্ট হওয়ায় আমি খুব খুশি। বহু বছর ধরে আমি তাকিয়ে এসেছি এমন একটা দিনের দিকে যখন কোনও ক্রিকেটার বোর্ডের হাল ধরবে আর আমাদের অ্যাঙ্গল থেকে ইস্যুগুলো দেখবে।

Advertisement

প্র: সে তো ব্রিজেশ পটেল প্রেসিডেন্ট হলেও হত। ব্রিজেশ তো প্রায় বসেই গিয়েছিলেন।
শাস্ত্রী: একটা জিনিস বুঝতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট সমাজে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একটা ব্যাপার। ও যদি বিশ্বপর্যায়ে আইসিসি ফ্রন্টে ভারতের হয়ে কোনও কথা বলে, তার ওজনটা খুব বেশি। প্লাস এত বছর ক্যাপ্টেন ছিল। সাক্সেসফুল ক্যাপ্টেন। খেলাটা ভাল বোঝে। আমাদের টিমের কী সাহায্য দরকার, খুব দ্রুত ধরতে পারবে।

প্র: একটু পর সৌরভ-বিরাট বসার কথা।
শাস্ত্রী: হ্যাঁ জানি। বিরাটের থেকে ও কিছুটা শুনবে। তারপর যখন আমার সঙ্গে কথা হবে তখন আমিও বলব।

প্র: এমন কী ইস্যু আছে যা সৌরভ আসার আগে সুরাহা হচ্ছিল না?
শাস্ত্রী: সবচেয়ে বড় ইস্যু তো আমাদের কোনও বোর্ডই ছিল না এই ক’বছর। এটা আন্তর্জাতিক মঞ্চে পথ চলতে বিরাট অসুবিধে। আমরা ক্রিকেটে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বোর্ড অথচ আমাদের পিছনে কোনও বোর্ড নেই। আইসিসি-তে এর ফলে নানান সমস্যা হয়েছে।

প্র: ওয়াকিং স্টিক নিয়ে চলার মতো?
শাস্ত্রী: কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাই। সিওএ সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে কিন্তু বোর্ড ইজ আফটার অল বোর্ড। আমাদের বেশ কিছু খচখচানি তাই থেকেই গিয়েছে।

প্র: যেমন?
শাস্ত্রী: আমি এই ফোরামে অফিশিয়ালি বলতে চাই না কী হয়। বা বিশ্বকাপের নকআউট স্টেজে কিছু ফেস করতে হয়েছিল কি না? সৌরভের সঙ্গে যেদিন দেখা হবে নিশ্চয়ই ওকে সব খুলে বলব। এমনিতেই সিওএ-র কাছে আমরা যা চেয়েছি তা হয়তো ওঁরা দিয়েছেন। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। আন্তর্জাতিক মঞ্চে আপনার দেশকে সরব উপস্থিতি রাখতেই হয়। ভাবুন না, সব দেশের বোর্ড ছিল কিন্তু আমাদের কেউ ছিল না। তাতেও গত তিন বছর আমার ছেলেরা যা ক্রিকেট খেলেছে, অবিশ্বাস্য। আমি কোনও ইন্ডিয়ান টিমকে টানা এত বছর এরকম ক্রিকেট খেলতে দেখিনি।

প্র: তাহলে সৌরভের মতো প্লেয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়া না হওয়ায় কি পার্থক্য এসে যায়?
শাস্ত্রী: এসে যায় কারণ একজন বড় প্লেয়ার টিমের সমস্যাটা অনেক বেটার বুঝতে পারবে। তার আন্ডারস্ট্যান্ডিং সাধারণ প্রশাসকের চেয়েও বেটার হবে।

প্র: একটা নমুনা দিন বিরাট বা আপনি কী নিয়ে বোর্ড প্রেসিডেন্টের কথা বলবেন? এমন কিছু বলুন যা স্পর্শকাতর নয় এবং এই ফোরামে বলতে পারবেন।
শাস্ত্রী: ওকে, বলছি। ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট। এখন তিনটে ফর্ম্যাটে এত বেশি খেলতে হয় যে ইনজুরি ম্যানেজমেন্টটা বড় ইস্যু হয়ে গিয়েছে। বোলারদের আপনাকে বিশ্রাম দিতেই হবে। বিশেষ করে পেসারদের। সমস্যা হল আমাদের দেশে এই ইস্যুটা কিছুটা অবহেলিত। অনেক প্রশাসক ধরতে পারেন না। ইংল্যান্ডে অ্যান্ডারসন বা ব্রডকে বিশ্রাম দিলে পুরো রেস্ট দেয়। বলে যাও রেস্ট নাও। তাজা হয়ে অ্যাসেজে ফেরত এসো। সবাই বোঝে। এখানে ইন্ডিয়ান টিম থেকে রেস্ট দিলে স্টেট অ্যাসোসিয়েশনগুলো বলতে শুরু করে যখন ইন্ডিয়া খেলছে না তখন স্টেটের হয়ে খেলবে না কেন? আমি নিশ্চিত সৌরভ এই জাতীয় প্রবলেম শুনলে এক মিনিটে বুঝবে টিম ঠিক কী চাইছে?

প্র: আর বলার মতো বিষয়?
শাস্ত্রী: আমি জানি না এখানে বলা উচিত কি না? কিন্তু কমেন্ট্রিটাও একটা ইস্যু। ইন্ডিয়ান টিম নিয়ে দু’একজন কমেন্টেটর যা বলে চলেছেন সেটা মানা যায় না। কোনও কোনও সময় টিমের মোরালের পক্ষে সেটা ক্ষতিকর। এর বিহিত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। সৌরভ নিজে বড় কমেন্টেটর। এই প্রসঙ্গটা ও বুঝবে।

প্র: জানি না সৌরভের সমর্থন এই বিষয় পাবেন কি না। কারণ উল্টো মতও রয়েছে। কারেন্ট ইন্ডিয়ান টিম সম্পর্কে পালটা অভিযোগ যে তারা কমেন্ট্রিতে কেবল নিজেদের সম্পর্কে ভাল ভাল কথা শুনতে চায়। একটু উলটো বলেছ কী তোমায় কমেন্ট্রি প্যানেলে দেখতে চাইবে না।
শাস্ত্রী: এটা ঠিক কথা নয়। আমি নিজে এত বছর ধরে কমেন্ট্রি করেছি। আমি তো ঠোঁটকাঁটা সাহসী ভাষ্যকার হিসেবেই পরিচিত। কই আমাকে নিয়ে তো ইন্ডিয়ান প্লেয়ারদের কখনও প্রবলেম হয়নি।

প্র: তখন হয়তো টিমের মানসিকতা অন্যরকম ছিল।
শাস্ত্রী: একদমই নয়। আসল কথা হল যা দেখছেন তার ভেতর কোনও কিছু অপছন্দ হলে যত খুশি বলুন না। আপনার সমালোচনা যদি গঠনমূলক হয়, টিম বা টিম ম্যানেজমেন্ট তো তা থেকে শেখার সুযোগ পায়। আমি তেমন কন্সট্রাকটিভ ক্রিটিসিজমকে খুব ওয়েলকাম করি। কিন্তু আপনি যদি তার বাইরে গিয়ে ফিকশন রচনা করেন, ভাই প্রত্যাঘাত তো হবেই।

প্র: সঞ্জয় মঞ্জরেকর নিয়ে বিশ্বকাপে প্রচুর জলঘোলা হল।
শাস্ত্রী: আপনি নামটা নিলেন। আমি এতক্ষণ নিইনি। ভরা বিশ্বকাপে যখন টিম এত ভাল খেলছে ও হঠাৎ জাদেজাকে বলে বসল বিটস অ্যান্ড পিসেস ক্রিকেটার। মানেটা কী? কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ আমার একটা প্লেয়ারকে তুমি অ্যাটাক করে দিলে? কেন করলে? প্ররোচনাই তো কিছু ছিল না?

প্র: হতেই তো পারে। আপনার সময় এক-আধবার আপনাকেও বিটস অ্যান্ড পিসেস ক্রিকেটার বলা হয়েছে। তাতে কি আপনি কমেন্ট্রি বক্সে বিক্ষোভ জানাতে গেছেন?
শাস্ত্রী: প্রথমত দু’টো মানুষের নেওয়ার ক্ষমতা একরকম হয় না। দুই, আমাকে প্রথম পাঁচ বছর অলরাউন্ডার বলা হত। বিটস অ্যান্ড পিসেস একটা সময় বলা হল যখন আমি টেস্টে ওপেন করতে শুরু করলাম। ব্যাটিং নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে গেলাম বলে বোলিং চর্চাটা কমে গেল। ব্যাটিংয়ে রান বাড়তে লাগল কিন্তু বোলিং ফর্ম নিচে নামল। আমারটা বাদ দিয়ে জাদেজার রেকর্ড দেখুন। বোলিংয়ে লেফট আর্ম স্পিনার হিসেবে ওর পারফরম্যান্স খেয়াল করেছেন? ব্যাটিং তেমনি ভাল। সে বিটস অ্যান্ড পিসেস? কী হল তারপর সেমিফাইনাল নিউজিল্যান্ড ম্যাচে? জাদেজা তো ঝামা ঘষে দিল। এটা সেই নমুনা যে স্ক্রিপ্টে নেই আপনি হঠাৎ ফিকশন লিখে ফেললেন। আমার মতে সারা দিন যা খেলা হয় সেই স্ক্রিপ্টের মধ্যেও বীরত্ব দেখানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকে। তাই দেখাও। সেই কাঠামোর বাইরে গিয়ে আলফাল বোলো না।

প্র: ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা কিন্তু অনেক সহনশীল এসব নিয়ে।
শাস্ত্রী: ইংল্যান্ডে স্বাধীনতা বেশি ভাষ্যকারদের কিন্তু সেখানে কারা বলে দেখুন। বথাম, গাওয়ার, উইলিস, নাসের, থারটন। তাদের ক্রেডিবিলিটি দেখুন। এই ধরনের আলটপকা কথা বলার জন্য এরা এক একজন বড় ক্রিকেটার বা ক্যাপ্টেন হয়নি। আমি তো বলছি না অস্ট্রেলিয়ান চ্যানেলে যেমন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের টেনে পক্ষপাতপূর্ণ কমেন্ট্রি হয় সেটা করতে। তুমি ক্রিটিসাইজ করো না কিন্তু একটা কাঠামোর ভেতর থাকো।

প্র: বিরাট কোহলি বলেছেন টেস্ট খেলা উচিত পাঁচটা সেন্টারের মধ্যে। যেহেতু এই ইস্যুটাও কারেন্টলি সৌরভের দরবারে তাই জানতে চাইছি এ ব্যাপারে আপনার মত কী?
শাস্ত্রী: আমি একমত বিরাটের সঙ্গে। বহুদিন ধরে আমি একই কথা বলে আসছি যে টেস্ট ম্যাচ বেশি সেন্টারে ঘুরিও না। স্মল ক্রিকেটিং সেন্টারকে অবহেলা করতে বলছি না কিন্তু তাদের ওয়ানডে বা টি-২০ দাও। টেস্টটা রাখো বড় সেন্টারের জন্য এবং খেলাগুলো ফেলো নির্দিষ্ট সময়ে, যা সারা পৃথিবী করে। কলকাতায় যেমন ঠিকই ছিল আমরা খেলব ডিসেম্বরের শেষে। সিরিজ শুরু হবে মুম্বই দিয়ে। পোঙ্গালের সময় থাকব চেন্নাইতে। সেই সময়টা ফিরুক না। আমার সময় তো মনেই পড়ে না পাঁচ-ছ’টা সেন্টারের বাইরে টেস্ট খেলেছি বলে। চণ্ডীগড়ে খেলেছি ১৯৯১-তে। পরের বছর খেলাই ছেড়ে দিই। কোথায় ছিল তখন অন্য সব সেন্টার? আর সেটাই তো ঠিক।

প্র: নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্টের মতে আজকের দিনে বড় শহরে কেউ টেস্ট ম্যাচ দেখতে আসবে না।
শাস্ত্রী: বড় শহরে টেস্টে মাঠে ঢোকা ফ্রি করে দিলেই তো হয়। টিকিট সেল তো তোমার এমনিতে প্রয়োজন হচ্ছে না। টিভি থেকে টাকা উঠে যাচ্ছে। তাও যদি একান্ত দিতে হয় অন্তত মার্কি সিরিজগুলো বড় সেন্টারের বাইরে দিও না। মার্কি বলতে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা এসব টিমগুলো। এখন এই যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হয়েছে তার পয়েন্ট সিস্টেমের জন্য আমার তো মনে হয় আরও বেশি করে নির্দিষ্ট কিছু মাঠের মধ্যে টেস্ট রাখলে ভাল।

প্র: অনেকে বলছেন সৌরভের মেয়াদ খুব কম। মাত্র দশ মাসের। আপনি কী বলেন?
শাস্ত্রী: মেয়াদে কিছু যায় আসে না। প্রথমত ওটা বাড়তে পারে। দুই, যদি না-ও বাড়ে দশ মাস অত্যন্ত গৌরবের। আপনি ভারতীয় বোর্ডের চিফ হয়েছিলেন এটাই তো সিভিতে একটা দারুণ মুকুট! এরপর যাই করুন না কেন সেই মুকুটটা জ্বলজ্বল করবে।

প্র: একটু আগে বললেন সৌরভ বোর্ড প্রধান হওয়ায় আপনি খুব খুশি। যা যা কারণ বললেন এর বাইরে আর কিছু রয়েছে?
শাস্ত্রী: একটা বড় ফ্যাক্টর টপ ক্রিকেটার ও ক্যাপ্টেন হিসেবে ওর বিশ্বাসযোগ্যতা। দুই, সৌরভ কিন্তু ভুঁইফোড় হয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ঢুকে পড়েনি। হঠাৎ করে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হয়ে যায়নি। বরং টানা তিন বছর সিস্টেমের মধ্যে থেকে কাজটা শিখেছে। আমি প্রশাসক সৌরভের প্রশংসা এর আগেও আপনার কাছে করেছি। আশা করি ভুলে যাননি যে ইডেন গার্ডেনস ট্র্যাকটার রূপান্তর নিয়ে আমি কী বলেছিলাম?

প্র: ইয়েস।
শাস্ত্রী: এই যে বাংলাদেশ আসছে, দুটো টেস্টই পেসার সহায়ক উইকেটে। ইন্দোর আর কলকাতা। আমাদের আর এমন উইকেট নিয়ে চাপ নেই কারণ দুরন্ত একটা পেস অ্যাটাক তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সৌরভ যে ভাল কাজ করছিল আর একটা এগজাম্পল আমার কাছে আছে। টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপের সময় এত দ্রুত ইডেন মাঠটা শুকিয়ে ফেলতে পারা। তিন-চার বছর আগেকার কথা। কিন্তু ওই ইন্দো-পাক ম্যাচের আগে কী পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছিল আমার মনে আছে। তারপর যে এত কুইক মাঠ শুকিয়ে খেলার উপযুক্ত করা গেছিল তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ছিল সিএবি’র। আমি তো ভাবিনি যে ম্যাচ আর হবে।

প্র: কিন্তু এই যে ক্রমাগত জল্পনা চলেছে যে সৌরভ পদে আসার পর আপনাদের পুরনো তিক্ততা আবার বাড়বে এবং তিনি প্রথম সুযোগেই ব্যবস্থা নেবেন।
শাস্ত্রী: আচ্ছা আমায় একটা কথা এবার বলুন। এই প্রশ্নটা সৌরভকে করেছেন?

প্র: করেছি।
শাস্ত্রী: কী উত্তর দিয়েছে?

প্র: বলেছেন আর ইউ ম্যাড? পাগল হয়ে গেলেন?
শাস্ত্রী: এগজ্যাক্টলি। ভাই একটা কথা বলি। আজ থেকে অনেক বছর আগে, ওয়েস্ট জোন ভার্সেস ইস্ট জোন ম্যাচ। বোধহয় গুয়াহাটিতে ছিল। সৌরভকে সম্ভবত আমার প্রথম দেখা। আমাদের টিমের এগেইন্সটে দারুণ একটা হান্ড্রেড করেছিল। এত কমবয়সি ছেলে এত ভাল ব্যাট করল দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। ওখান থেকে ফোন করি টাটার বড় কর্তা মুথুরমনকে। বলি এই ছেলেটাকে টাটায় নিন। আমাদের টিমের অনেক উপকার হবে। আমি তখন টাটা স্পোর্টস টিমের ক্যাপ্টেন। সৌরভ কলকাতায় টাটার চাকরিতে জয়েন করে আমার আন্ডারে টাটার হয়ে খেলতে শুরু করল। এরপর আমি হয়তো খেলা ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু ও খেলতে খেলতে এত বড় ক্যাপ্টেন হয়ে গিয়েছে। সময়ের সঙ্গে নিজেকে এগিয়েছে। ওর টানা ক্যাপ্টেন্সি কেরিয়ারে আমার মন্তব্যগুলো পড়ে দেখুন। আপনি নিজের ইন্টারভিউগুলো খুঁজতে পারেন। আরও ভাল হয় যদি নেট থেকে আমার পুরনো কমেন্ট্রিগুলো একটু শুনে নেন। ওর তৈরি টিম সম্পর্কে টিভিতে কী বলেছি। কমেন্ট্রির ভিডিওগুলো তো আর হারিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। চাইলেই শুনতে পারবেন।

প্র: তাহলে তিক্ততা কীসের?
শাস্ত্রী: নিছকই একটা নির্দিষ্ট ইস্যু ঘিরে তীব্র মতবিরোধ। কিন্তু তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। ইডেনে যদি প্রথম দেখা হয় আমি নিজে থেকে বলব, ওয়েল ডান।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement