হাসপাতালে ভর্তি থাকা একটি শিশুকে আদরে ভরিয়ে দিলেন শচীন-অঞ্জলি। ছবি: X হ্যান্ডেল
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইশ গজের যুদ্ধে যতই চাপ থাকুক, তাঁর মুখে হাসি লেগে থাকত। তাঁর সদাহাস্য মুখ দেখার জন্য মুখিয়ে থাকত গোটা দুনিয়া। তিনি এক ও অদ্বিতীয় শচীন তেণ্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। কয়েক দিন আগে পরিবারের সঙ্গে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন মহাতারকা। সেখানে গিয়ে এবার আরও বড় ঘোষণা করেছেন তাঁর শচীন তেণ্ডুলকর ফাউন্ডেশন (Sachin Tendulkar Foundation)।
বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য মানবিক উদ্যোগ নিলেন ‘গড অফ ক্রিকেট’। অঙ্গবিকৃতি রোগে ভুগতে থাকা শিশুদের পাশে দাঁড়াল তাঁর সংস্থা। শচীনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী অঞ্জলি। এবং ছিলেন কন্যা সারা। কাশ্মীরের কচিকাচাদের সঙ্গে সময় কাটানোর সেই মুহূর্ত সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। এর আগে বিশেষভাবে সক্ষম ক্রিকেটার আমির হুসেন লোনের (Amir Hussain Lone) সময় কাটিয়েছিলেন তিনি।
We don’t often think about our ability to smile, as a gift. We consider it a given. There are a few, who struggle to express even this basic emotion. Nearly 60,000 babies in India are born every year with deformities that inhibit their smiles.
Through Sachin Tendulkar Foundation… pic.twitter.com/INATeLsDCN
— Sachin Tendulkar (@sachin_rt) March 1, 2024
শিশুদের সঙ্গে কাটানো ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের এই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পরিবারকে নিয়ে একটি হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন শচীন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছে একাধিক শিশু। ওরা অঙ্গবিকৃতি রোগে আক্রান্ত। তবে ভালো দিক হল সেই সব বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা কিন্তু চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছে। কীভাবে এবং কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে সেই সব অঙ্গবিকৃতি রোগে ভুগতে থাকা শিশুদের চিকিৎসা হচ্ছে, সেটাই ঘুরে দেখলেন শচীন। বাচ্চাদের আদরে ভরিয়ে দিলেন তিনি এবং অঞ্জলি।
এর পর শচীন বলেন, ‘দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর জিনিস হল হাসি। এই জিনিসটা আমাদের ঈশ্বর দিয়েছেন। তাই হাসতে থাকা সবার অধিকার।’ শচীনের সঙ্গে বাচ্চাদের কোলে তুলে নেন অঞ্জলি ও সারা। তাঁদের এমন মহানুবতায় মুগ্ধ সেই সব শিশু এবং তাঁর বাবা-মায়েরা।
পুরানো বছরের সঙ্গে অতীতের কবলে একটা দশকও। নতুন দশকে শচীন নিজের প্রার্থনার কথা এভাবেই জানালেন। ভারতের ক্রিকেট আইকন ফের বলেছেন, ‘আগামী দশক ঘিরে থাকুক শিশুরাই। যা কিছু হোক শিশুদের কথা ভেবেই। এই খুদেরাই তো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।’
শচীন মনে করেন, আগামী দিনে শিশুদের ভয় ও ভারমুক্ত হয়েই চলতে দেওয়া উচিত। যাতে তারা নিজেদের মনের কথা নির্ভয়ে বলতে পারে। কারণ, বিশ্ব ক্রমশই জটিল হয়ে উঠছে। এই জটিলতার শিকার যে না হয় শিশুরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.