সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ঠুকে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন পাক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi)। যা নিয়ে আফ্রিদিকে পালটা তোপ দেগেছিলেন আকাশ চোপড়া। এবার ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে শোরগোল ফেললেন আফ্রিদি। আফ্রিদির নতুন খোঁচা, শোয়েব আখতারকে (Shoaib Akhtar) নাকি খেলতে ভয় পেতেন কিংবদন্তী শচীন তেণ্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। ৯ বছর আগে শোয়েব আখতারের একটা মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন আফ্রিদি।
২০১১ সালে শোয়েব আখতার তাঁর বই ‘কন্ট্রোভার্সিয়ালি ইওরস’-এ লিখেছিলেন, শচীন তাঁর বল খেলতে ভয় পেতেন। তখন আফ্রিদি তাঁর সতীর্থকে সমর্থন করেছিলেন। সেইসঙ্গে বলেছিলেন, ‘স্কোয়্যার লেগে ফিল্ডিং করার সময় আমি দেখেছি, শোয়েবকে খেলার সময় শচীনের পা কাঁপত।’ পাকিস্তানের জনৈক সাংবাদিক জয়নাব আব্বাস সেই প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন আফ্রিদিকে। তখন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক উত্তরে বলেন, ‘শচীন তো নিজে বলবে না ভয় পাওয়ার কথা। শুধু শচীন নয়, বিশ্বের অনেক বিশ্বের অনেক ব্যাটসম্যানই কিন্তু শোয়েবের বল খেলতে ভয় পেত। মিড অফে বা কভারে ফিল্ডিং করার সময় আমি বুঝতে পারতাম। ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষা দেখলেই বোঝা যায় যে সে চাপে আছে। নিজের সেরা ছন্দে নেই সেটা বোঝা যায়। শোয়েবের সব বল খেলতে ভয় পেত শচীন সেটা বলব না। তবে শোয়েবের এমন কিছু স্পেল ছিল যা খেলতে শচীনের মতো অনেক ব্যাটসম্যানই ভয় পেয়ে ব্যাকফুটে চলে যেত।’ বিশ্বকাপে তরুণ পাক স্পিনার সইদ আজমলকেও নাকি খেলতে ভয় পেত শচীন, এমনটাই দাবি আফ্রিদির।
প্রসঙ্গত, ভারতের ক্রিকেট থেকে কূটনীতি, সব বিষয়েই ‘নাক গলাতে’ দারুণ ভালবাসেন বুমবুম। ‘বাজে বকা’র জন্য বিতর্কেও জড়ান। কিন্তু সেসবে বিশেষ আমল না দিয়েই একের পর এক মন্তব্য করেন। করোনা কবল থেকে সুস্থ হওয়ার পর ফের একই কাণ্ড ঘটান তিনি। কয়েকদিন আগে আফ্রিদি দাবি করেন, তিনি ভারতের বিরুদ্ধে খেলার সময় এমনভাবে শট খেলতেন যে শেষে ভারতীয়রা তাঁর কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হত! গত শনিবার একটি সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডার বলেন, “আমি সবসময় ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলাটা উপভোগ করতাম। আসলে দু’টোই বড় দল। ওদের বিরুদ্ধে ভাল খেলার চাপ বেশি থাকে। ওদের বিরুদ্ধে ভাল পারফর্ম করার মজাই আলাদা। আমার মনে হয় ভারতের বিরুদ্ধে আমি ভালই খেলেছি। ওদের বেশ ভালই ‘মেরেছি’। এত মেরেছি যে ম্যাচের শেষে এসে ক্ষমা চাইত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.