Advertisement
Advertisement
শচীন

করোনার পাশাপাশি নিস্বর্গ ঝড়ে বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র, ফের দুস্থদের পাশে দাঁড়ালেন শচীন

একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে মাস্টার ব্লাস্টারের।

Sachin Tendulkar is helping those who are badly affected by cyclone Niswarg

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:July 28, 2020 3:31 pm
  • Updated:July 28, 2020 3:31 pm  

অভিজ্ঞান সাহা: তিনি আগেও ছিলেন। আবার পাশে দাঁড়ালেন। মহারাষ্ট্রে নিস্বর্গ ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে নতুন ভূমিকায় শচীন তেণ্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। করোনার প্রকোপে দিশেহারা মানুষের পাশে সেদিন ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে সাহায্য করার পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ফান্ডেও বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন। এবার তিনি নতুন কাজে হাত দিলেন।

আমফানের (Amphan) কথা বাংলার মানুষে ভোলেনি। সেই ঝড়ে বিধ্বস্ত অনেক পরিবার এখনও মাথা তুলতে পারেনি। তারপরই মহারাষ্ট্রে আসে নিস্বর্গ। বাংলায় ঝড়ের ছবি বাড়িতে বসে টিভিতে দেখেছিলেন শচীন। পরের দিন কলকাতার বন্ধুদের ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন কেমন আছেন সবাই? তাই নিস্বর্গ থেকে বাঁচতে মুম্বইকররা আগে থেকেই তৈরি ছিলেন। বাণিজ্যনগরীকে বড় ঝাপটা না দিলেও সমুদ্রের পাশে বসবাসকারী মানুষদের শেষ করে দেয় সেই ঝড়। সেখান থেকে এখনও তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। বহু বাড়িতে আলো নেই। টাওয়ার কবে ঠিক হবে, কেউ জানে না। পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। কীভাবে থাকবে? ৫ হাজার লিটারের বেশ কিছু ট্যাঙ্ক উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে বিধ্বংসী ঝড়। কিন্তু এভাবে কতদিন? তাঁদের কথা শুনে এগিয়ে এলেন মাস্টার ব্লাস্টার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নজরে আর্থিক সমস্যা! চূড়ান্ত পরিকল্পনা সারতে বৈঠকে বসছে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল]

শচীনের প্রথম কাজ, বিধ্বস্ত মানুষের বাড়িতে আলো দেওয়া। ক’বছর আগে নাসিকে তিন হাজার পরিবারকে সোলার ল্যাম্প দিয়েছিলেন তিনি। এবার লক্ষ্য আরও বড়। কারণ শহরের ঠিক বাইরে আলিবাগ থেকে রত্নগিরি- এই বিশাল এলাকা বড় ধাক্কা খেয়েছে। সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় কৃষক, মৎস্যজীবীরা গাঁটের পয়সা খরচ করে আলো, জলের ব্যবস্থা করতে পারছেন না। ঝড়ের তাণ্ডবে সেসব এলাকার অবস্থা এতটাই খারাপ। কী করবেন! আগে বাঁচা, তারপর তো কাজে নামা।

কীভাবে টাকা আসবে? শোনা গেল, ২ আগস্ট এক অনলাইন অনুষ্ঠান থেকে যে টাকা আসবে তা দিয়ে ওদের সাহায্য করা হবে। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নানা জগতের মানুষ এগিয়ে এসেছেন। লেখক, কবি, গায়ক-গায়িকাদের সঙ্গে ক্রিকেটাররাও আছেন। এই বিষয়ে যাঁর কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে, তাঁরা ফিরিয়ে দেননি। সংগীতে আছেন শংকর মহাদেবন, শ্রেয়া ঘোষাল। ক্রিকেটারদের মধ্যে থাকছেন অজিঙ্ক রাহানে, কেদার যাদব, দিলীপ বেঙ্কসরকার, শচীন। শোনা গেল সুনীল গাভাসকরও অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন। তবে এখনও নিশ্চিত করে তাঁর নাম বলা যাচ্ছে না।

দু’ঘণ্টার অনুষ্ঠানে ওঁরা কী করবেন? ঠিক হয়েছে, প্রত্যেকে নিজেদের জীবনের কঠিন সময়ের কোনও ঘটনা বলবেন। যা তাঁরা এতদিন কোথাও বলেননি। সকলের জন্য পাঁচ মিনিট বরাদ্দ। তাই জনা ২০ সেলেব্রিটিকে অনলাইন অনুষ্ঠানে আনা হচ্ছে। এখানেই অনেকে অনুদান দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে আনুমানিক যে টাকা লাগবে, তার অনেকটাই উঠে এসেছে। হাতে এখনও দিন চারেক সময় আছে। তাই চিন্তার কিছু নেই। আর ক্রিকেট ঈশ্বর যেখানে আছেন, সেখানে টার্গেট তো ফ্লপ হতে পারে না।

[আরও পড়ুন: ‘বিকিনি পরে নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করো না’, নেটিজেনদের তীব্র কটাক্ষের মুখে টেনিসতারকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement