মাইকেল ক্লার্ক: প্রথমেই বলি, শচীনকে আমি অসম্ভব সম্মান করি। যে সমস্ত কীর্তি ও অর্জন করেছে, তাতে শচীনকে ক্রিকেটের অন্যতম বিশেষ চরিত্র না ধরে কোনও উপায় নেই। আমাদের প্রজন্মের সেরা ক্রিকেটার ছিল শচীন। আমি ভাগ্যবান যে, কখনও ওর সঙ্গে, কখনও বা ওর বিপক্ষে খেলার সুযোগ হয়েছে আমার। অনেকেই জানেন না, ২০০৪ সালে ভারত সফরে আমার অভিষেক হয়। আর সেই ম্যাচে শচীন আমাকে একজোড়া গ্লাভস উপহার দিয়েছিল। নিজে সই করে। সিডনিতে আমার প্রিয় ট্রফি ক্যাবিনেটের মধ্যে যা আজও আছে।
শচীন বেশ কিছু অসাধারণ ইনিংস খেলেছে আমাদের বিপক্ষে। প্রচুর রানও করেছে। কিন্তু তার পরেও ওর খেলা দেখতে আমার ভাল লাগত। আসলে পারফরমার হিসাবে আপনি চাইবেন সব সময় সেরার বিরুদ্ধে লড়তে। যে সমস্ত কৃতিত্ব অর্জন করেছে শচীন, খুব সহজ হল তার পর ঢিলে দেওয়া। আর সেখানেই শচীন বাকিদের চেয়ে আলাদা। ভেবে দেখুন, একই খিদে, একই সাধনা, ও ২৪ বছর ধরে রেখে গিয়েছে। প্রতিটা বলকে শচীন তাড়া করেছে একই রকম তাড়নায়, প্রতিটা সিঙ্গল প্রাণপণ দৌড়ে নিয়েছে, অসম্ভব প্যাশনের সঙ্গে খেলে গিয়েছে চিরকাল। আমি তো বলব, তরুণদের ওর থেকে শেখা উচিত।
ক্রিকেটে আমরা টেকনিক নিয়ে অনেক কিছু বলি। দুটো জিনিস দিয়ে ব্যাটারকে বিচার করি। প্রথমত, তাঁর টেকনিক কতটা ভাল। দ্বিতীয়ত, তিনি মানসিকভাবে কতটা পোক্ত। আমি শচীন তেণ্ডুলকরের চেয়ে ভাল টেকনিক কোনও ব্যাটারের মধ্যে দেখিনি। এর সঙ্গে যদি আপনি অসীম মানসিক কাঠিন্য যোগ করেন, বলতেই হবে স্পেশ্যাল একজন ক্রিকেটারকে নিয়ে আপনি বলছেন। আমাদের সময় ও খেলত যখন, এক এক সময় মনে হত শচীনকে আর আউট করাই যাবে না বোধহয়।
সাধে তো আর শচীন অনন্য?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.