সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইশ গজে তাঁর রেকর্ডের ভান্ডার পরিপূর্ণ। ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের ঘুম উড়িয়ে তিনি হয়ে ওঠেন ক্রিকেটের ঈশ্বর। কিন্তু সেই শচীন তেণ্ডুলকরের ঝুলিতে একটি রেকর্ড নেই। টেস্টে ছয়-ছয়টি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালেও ট্রিপল সেঞ্চুরি অধরাই রয়ে গিয়েছে তাঁর। এমনকী ২৫০ রানের গণ্ডিও ছোঁয়া হয়নি। আর ঠিক এখান থেকেই আরেক কিংবদন্তির দাবি, শতরানকে কীভাবে ২০০ বা ৩০০-য় বদলে ফেলতে হয়, তা জানতেনই না শচীন (Sachin Tendulkar)!
টেস্টে ৫১টি সেঞ্চুরির মালিক তিনি। যার মধ্যে সর্বোচ্চ রান ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২৪৮। সোনায় মোড়া কেরিয়ারে যদিও ৩০০ রান করার সৌভাগ্য হয়নি মাস্টার ব্লাস্টারের। এমনকী ঘরোয়া ক্রিকেটেও সেই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি তিনি। এই প্রসঙ্গে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব বলছেন, শচীন আসলে জানতেন না, কীভাবে সেঞ্চুরিকে ডাবল কিংবা ট্রিপল করতে হবে। কিন্তু কেন এমনটা মত কিংবদন্তির?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কপিল দেব (Kapil Dev) বলেন, “শচীনের মতো প্রতিভা অন্য কারও মধ্যে দেখিনি। ও জানত কীভাবে শতরান করতে হবে। কিন্তু কখনওই বেপরোয়া ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেনি। ক্রিকেটের সব রেকর্ডই করেছে। কিন্তু বেপরোয়া না হওয়ায় সেঞ্চুরিকে ২০০ কিংবা ৩০০-য় বদলে ফেলতে পারেনি।” সঙ্গে যোগ করেন, “ওর অন্তত তিনটে ট্রিপল সেঞ্চুরি আর মোট আরও ১০টা ডাবল সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল। কারণ প্রত্যেক ওভারেই ও পেসার আর স্পিনারদের বলে বাউন্ডারি হাঁকাত।”
২০০টি টেস্টে ১৫ হাজার ৯২১ রান শচীনের ঝুলিতে। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ১৫ হাজারের বেশি রান তাঁর করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। অথচ তাঁর চেয়ে মোট রান কম হলেও ১১টি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন শ্রীলঙ্কার কুমার সঙ্গকারা। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাও ন’বার দ্বিশতরান হাঁকিয়েছেন। আবার এককালের সতীর্থ বীরেন্দ্র শেহওয়াগ জোড়া ট্রিপল সেঞ্চুরির মালিক। কিন্তু শেহওয়াগের মতো শচীনের মধ্যে সেই বেপরোয়া বিষয়টা ছিল না বলেই ৩০০-র গণ্ডি পর্যন্ত পৌঁছনো যায়নি। মনে করছেন কপিল দেব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.