অজিদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর এভাবেই সেলিব্রেশন করেছিলেন রিঙ্কু সিং। ছবি: টুইটার
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি দলের বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাঁর বেড়ে ওঠার প্রতিটি ধাপে রয়েছে লড়াই। আর সেই লড়াই এক লড়েছিলেন বলেই রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে তুলে ধরতে পারলেন। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেয়েছিলেন ম্যাচের সেরার খেতাব। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ২১ বলে ৩৮ রান। এবার ফের মারকুটে মেজাজের রিঙ্কুকে দেখা গেল। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মোক্ষম সময় ১৪ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকার সুবাদে দুই উইকেটে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) থেকে ভারতীয় দল, বারবার চাপের মুখে পারফর্ম করছেন। এহেন রিঙ্কু এবার জানিয়ে দিলেন যে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য কতটা মুখিয়ে রিঙ্কু? তরুণ ব্যাটার বলেন, “হ্যাঁ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর জন্য আমি পুরোপুরি তৈরি। ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি খুব বেশি চিন্তা করি না। তাই যা সুযোগ পাচ্ছি, তার সদ্ব্যবহার করতে চাই। বাকিটা সময় বলবে। তবে আমি যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাই, তাহলে আমি ১০০ শতাংশ উজাড় করে দেব।”
বাবা খানচন্দ সিং স্থানীয় এলাকায় এলপিজি গ্যাস সরবরাহ করতেন। পাঁচ-ভাই বোনের সংসারে অভাব-অনটনের সঙ্গে মিতালি গড়েই জীবনের চলার পথ গড়তে হয়েছে বাঁহাতি এই ক্রিকেটারকে। এসবই পুরনো কথা। এটুকুতে যে রিঙ্কুর ব্যাপ্তিকে ধরা মুশকিল। এর বাইরে একটা অন্য রিঙ্কুও রয়েছে। যিনি দরকারে নিজের এলাকার ছেলেদের ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য অ্যাকাডেমি গড়ে দেন। আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপালে আগ্রাসী মেজাজ ধারণ করেন। তবে এটাও জানাতে ভুলে গেলেন না যে, নাইট রাইডার্স তাঁকে না আগলে রাখলে নিজেকে তুলে ধরতেই পারতেন না।
রিঙ্কু যোগ করেন, “কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। আলিগড় থেকে একমাত্র ক্রিকেটার হিসাবে আমি এত বড় মঞ্চে খেলার সুযোগ পেয়েছি। সবাই জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চায়। আমিও ব্যতিক্রম নই। তাই বিশ্বকাপের দলে আমার নাম রয়েছে, সেই স্বপ্ন সবসময় দেখি। সেইজন্য অনেক পরিশ্রম করছি।”
আসলে রিঙ্কুরাই পারেন। সমাজে থেকে অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও লড়াই করার ক্ষমতা রাখেন রিঙ্কু। এবং প্রবল চাপের মুখে দলকে জিতিয়ে মনে করিয়ে দেন, শাহরুখ খানের সেই বিখ্যাত ডায়লগ। ‘ক্যাহতে হ্যায় অগর কিসি চিজ কো দিল সে চাহো, তো পুরি কায়নাত উসে তুমসে মিলানে কি কোশিশ মে লাগ জাতি হ্যায়।’ রিঙ্কুর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক তেমনই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.