সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ও… ভাই মুঝে মারো…’ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের পর পাকিস্তানি ক্রিকেটপ্রেমীদের মানসিক অবস্থা কেমন ছিল, সেটা একেবারে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন জনৈক মোমিন শাকিব (Momin Saqib)। এক টিভি সাক্ষাৎকারে তাঁর সেই আড়াই মিনিটের ‘কান্নাকাটি’ আর আক্ষেপের ভিডিও নিয়ে বহু রসিকতা হয়েছে। বহু ‘মিম’ তৈরি হয়েছে। পাক দলের ব্যর্থতা, তথা ক্রিকেটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা শাকিব সেদিন যেভাবে বুঝিয়েছিলেন, তা সত্যিই হাসির উদ্রেক ঘটায়। সেই ঘটনার এক বছর বাদেও তাঁর সেই ভিডিওটি সমান জনপ্রিয়। আর শাকিব? তিনি নিজেও আজ সেলিব্রিটি। পাকিস্তান-ভারত-বাংলাদেশের অপামর ক্রিকেট তথা কৌতুক প্রেমীদের কাছে তিনি আজ অতি পরিচিত। শুধু ওই একটি ভিডিওর জন্য।
কিন্তু জানেন কি? একবছর আগে যে পাক (Pakistan) ক্রিকেটপ্রেমী ভাইরাল হয়েছিলেন, তিনি কোনও সাধারণ মানুষ নন। একজন নামী সমাজসেবী। এই করোনা পরিস্থিতিতি বহু মানুষের জীবনে ঈশ্বরের দূত হয়ে এসেছেন শাকিব। শুধু তিনি একা নন, তাঁর মা’ও মহামারীর সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মোমিন শাকিবের পরিবারের এখন একটাই ব্রত, করোনার কবলে পড়ে কাউকে যেন না খেয়ে ঘুমোতে না হয়।
মোমিন আসলে লন্ডনের কিংস কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি। কলেজে থাকাকালীনই সমাজসেবায় ব্রতী হয়েছেন। তাঁর কাজে মুগ্ধ হয়ে, সাম্মানিক পদ হিসেবে তাঁকে ছাত্র সংসদের আজীবন সদস্যপদও দিয়েছে ওই কলেজ। সম্প্রতি তিনি একটি কর্মসূচি নিয়েছেন, যার লক্ষ্য ১০ লক্ষ করোনা যোদ্ধার কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া। তাঁর কয়েকজন বন্ধু এই কাজে মোমিনকে সাহায্য করছেন। এমনকী, কিংস কলেজের সরকারি ওয়েবসাইটেও মোমিনের এই কাজের কথা উল্লেখ আছে। মোমিনের মা নিজের এলাকায় দুঃস্থদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছেন, সেই কাজেও তাঁকে সাহায্য করছেন এই পাকিস্তানি ক্রিকেট ফ্যান। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মাঝেই তাঁকে দেখা যায় করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচার করতে। রাতারাতি ভাইরাল হওয়া এই যুবকের সমাজসেবী অবতার প্রশংসা পাচ্ছে নেটদুনিয়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.