বাংলা: ১৭৪, ২৪১-১০ (মনোজ ৬৮, অনুষ্টুপ ৬১)
সৌরাষ্ট্র: ৪০৪-১০, (ভাসাবাদা ৮১, চিরাগ ৬০), ১৪-১
সৌরাষ্ট্র ৯ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৩ বছরের অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হল। সৌরভ পারেননি, অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা পারেননি, কোচ লক্ষ্মীও পারলেন না। ক্রিকেটের নন্দনকাননেই স্বপ্নভঙ্গ হল বঙ্গ ক্রিকেটপ্রেমীদের। সৌরাষ্ট্রের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে রনজি জয়ের স্বপ্ন ছারখার হয়ে গেল মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদারদের।
একেবারে প্রথম দিনের প্রথম সেশন থেকে বাংলার উপর যে চাপ সৌরাষ্ট্র তৈরি করেছিল, চারদিন চেষ্টা করেও সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে পারলেন না মনোজ তিওয়ারিরা। তৃতীয় দিনের শেষে একবার মনে হয়েছিল বাংলা হয়তো লড়াইয়ে ফিরবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা থেকে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি এবং শাহবাজ আহমেদের ব্যাটে ভর করে হয়তো ঘুরে দাঁড়াবে। রবিবার সকালের ছোট্ট একটা ভুল সেই স্বপ্নও চুরমার করে দিল।
কী ভুল? রনজি ফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্রেফ একটা রানের জন্য শাহবাজ আহমেদের মতো উজ্বল ব্যাটার উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলেন। দোষটা অবশ্য পুরোপুরি তাঁর ছিল না। কিছুটা ছিল অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির। আর বাকিটা বাংলার কপালেরও। সমন্বয়ের অভাবে শাহবাজ রান আউট হয়ে যাওয়ার ফলে ম্যাচে লড়াই করার যেটুকু সম্ভাবনা বাংলার ছিল, সেটাও কার্যত উবে গেল। এরপর একের পর এক উইকেট পড়া শুরু।
শাহবাজ যখন আউট হলেন তখন দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার স্কোর ছিল ১৯৪। শাহবাজের পরপরই ফিরে গেলেন অধিনায়ক মনোজ। ৬৮ রান করেন তিনি। তখন বাংলার স্কোর ১৯৮। এরপর অভিষেক পোড়েল, আকাশ দীপ, আকাশ ঘটকরা সৌরাষ্ট্রকে বিশেষ বেগ দেননি। একটা সময় মনে হচ্ছিল হয়তো ইনিংস হারের লজ্জাও সঙ্গী হবে বাংলার। কিন্তু শেষদিকে খানিক অপ্রত্যাশিতভাবে ঈশান পোড়েল এবং মুকেশ কুমার জুটি বেঁধে ইনিংস হারের লজ্জা থেকে রক্ষা করেন বাংলাকে। শেষ পর্যন্ত বাংলার ইনিংস শেষ হয় ২৪১ রানে। বাংলা লিড পায় ১১ রানে। অর্থাৎ জয়ের জন্য ১২ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সৌরাষ্ট্রের সামনে। সেই রান তুলতে আবার ১ উইকেট খুইয়ে ফেলে তারা। শেষ পর্যন্ত সৌরাষ্ট্র জেতে ৯ উইকেটে। এটা সৌরাষ্ট্রের দ্বিতীয় রনজি জয়। এর আগে ২০১৯-২০ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন উনাদকাটরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.