সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রনজিতে (Ranji Trophy) রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ শেষে জয়ের দেখা পেল বাংলা। একটা সময় মনে হচ্ছিল, মধ্যপ্রদেশ বোধহয় জয় ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু শেষবেলায় শাহবাজ আহমেদ, মহম্মদ শামিদের দুরন্ত বোলিংয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ল বাংলা। শামির প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ১১ রানে জয় পেল বাংলা। ম্যাচের সেরা শাহবাজ আহমেদ।
মধ্যপ্রদেশের হোলকার স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে বাংলা তোলে ২২৮ রান। শাহবাজ আহমেদ করেন ৯২ রান। জবাবে মধ্যপ্রদেশের ইনিংস থেমে যায় ১৬৭ রানে। যার নেপথ্যে ছিল মহম্মদ শামির আগুনে বোলিং। ৩৬০ দিন পর মাঠে ফিরে তিনি তুলে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৬১ রানের লিড ছিল বাংলার। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা করে ২৭৬ রান। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় করেন ৫২ রান। ঋদ্ধিমান সাহার রান ছিল ৪৪। শেষের দিকে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন শামিও। তিনি ৩৬ বলে ৩৭ রান করেন।
৩৩৮ রানের লক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও লড়াই ছাড়েনি মধ্যপ্রদেশ। তৃতীয় দিনের শেষে ভেঙ্কটেশ আইয়ারদের রান ছিল ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫০। শেষদিনে তুলতে হত আরও ১৮৮ রান। স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়েছিল, শামি-রোহিত কুমারদের দাপটে দ্রুত জয় পাবে বাংলা। কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ান অধিনায়ক শুভম শর্মা ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তারা আউট হয়ে যাওয়ার পরও চাপ কমেনি। বরং আরিয়ান আনন্দ পাণ্ডে ও সরংশ জৈনরা ক্রমশ ম্যাচ বাংলার হাতের মুঠো থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আরিয়ানকে আউট করেন মহম্মদ শামি। অন্যদিকে সরংশকে ফিরিয়ে দেন শাহবাজ। এই ইনিংসে শাহবাজ তোলেন ৪ উইকেট। শেষে শামির বলে কুমার কার্তিকেয় আউট হতেই জয় পায় বাংলা। মধ্যপ্রদেশের ইনিংস থেমে যায় ৩২৬ রানে। অনুষ্টুপরা ম্যাচ জেতেন ১১ রানে।
মরশুমের প্রথম জয়ের সুবাদে ৫ ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট ১৪। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ঋদ্ধিমানরা। ৪ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে সি গ্রুপে শীর্ষে হরিয়ানা, দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেরলের পয়েন্ট ৪ ম্যাচে ১৫। এই গ্রুপ থেকে দুটি দল যাবে পরের রাউন্ডে। ফলে এখনই কাজ শেষ হয়নি বাংলার। সেই সঙ্গে এটাও প্রশ্ন, শামি যদি বর্ডার গাভাসকর ট্রফির জন্য অস্ট্রেলিয়া উড়ে যান, তাহলে পরের ম্যাচে বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দেবেন কে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.