সেঞ্চুরির পরে যশস্বী। ফাইল চিত্র
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-১৭৯/৯ (তিলক ৬৫, সন্দীপ ৫/১৮)
রাজস্থান রয়্যালস-১৮৩/১ (যশস্বী ১০৪*, সঞ্জু ৩৮*)
৯ উইকেটে জয়ী রাজস্থান।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘের উপর দিয়ে হাঁটছে রাজস্থান রয়্যালস। আটটির মধ্যে সাতটিতেই জয় যশস্বী জয়সওয়ালদের। সোমবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৯ উইকেটে মাটি ধরিয়ে (RR vs MI) আইপিএলের লিগ তালিকায় সবার উপরেই থেকে গেল রাজস্থান রয়্যালস। ম্যাচ হেরে আরও চাপ বাড়ল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের উপরে।
যশস্বী জয়সওয়ালের ব্যাট গর্জে উঠল সোমবার। মুম্বই বোলারদের রীতিমতো শাসন করে ম্যাচ নিয়ে তিনি চলে গেলেন রাজস্থানের সাজঘরে। এবারের আইপিএলে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না। এদিন জ্বলে উঠলেন মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। সেঞ্চুরি হাঁকালেন। জস বাটলার আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পরে একার কাঁধে দলকে টেনে নিয়ে গেলেন।
যশস্বীর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভর করে রাজস্থান খুব সহজেই ম্যাচ জিতে নিল। যশস্বী অপরাজিত থেকে যান ১০৪ রানে (৯টি চার, ৭টি ছক্কা)। ৮ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান রয়্যালস।
প্রতিটি ম্যাচই হার্দিক পাণ্ডিয়ার দলের কাছে মরণবাঁচন। একটা ম্যাচ হেরে যাওয়ার অর্থই হল নিজেদের আরও বিপন্ন করা। প্লে অফের রাস্তা কঠিন করে ফেলা। এদিন হেরে যাওয়ায় বিপন্ন হার্দিক পাণ্ডিয়ার দলই।
টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্রথমে ব্যাট নেয়। কিন্তু শুরু থেকেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে মুম্বই। ট্রেন্ট বোল্টের বিরুদ্ধে দুর্বলতা এখনও কাটল না হিটম্যানের। এদিন বোল্টের শিকার রোহিত (৬)। অন্যদিকে ঈশান কিষান খাতা খুলতে পারেননি। সন্দীপ শর্মা ফেরান তাঁকে। সূর্যকুমার যাদবও রান পাননি। মাত্র ১০ রানে ডাগ আউটে ফিরতে হয় ‘স্কাই’কে। সন্দীপ শর্মার শিকার তিনি। তিলক বর্মা ও মহম্মদ নবি ৩২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ২৩ রানে নবিকে আউট করে নজির গড়েন যুজবেন্দ্র চহাল। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁন তিনি। এই ম্যাচের বল গড়ানোর আগে ১৯৯ উইকেট ছিল তাঁর ঝুলিতে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে একটি উইকেট নিয়ে নতুন এক কীর্তি গড়েন চহাল। রাজস্থানের জার্সিতে তাঁর ঝুলিতে ৬১টি উইকেট। আইপিএলের কেরিয়ারে আরসিবির জার্সিতেই অবশ্য সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
পর পর উইকেট হারিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স যখন চাপ অনুভব করতে শুরু করে তখন তিলক ও নেহাল পার্টনারশিপ গড়েন। মুম্বইয়ের ইনিসংকে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন এই দুই ব্যাটার। তাঁরা ৯৯ রান জোড়েন। ভাগ্য খারাপ নেহালের। ৪৯ রানে বোল্টের শিকার হন তিনি। নেহালের ইনিংসে সাজানো ছিল তিনটি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা।
এই পরিস্থিতি থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ধসে যায় ১৭৯ রানে। তাদের ইনিংসে ভাঙন ধরান সন্দীপ শর্মা। দিনের শেষে তাঁর নামের পাশে লেখা পাঁচ উইকেট। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৮ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন সন্দীপ। তিলক বর্মাও (৬৫) সন্দীপেরই শিকার। তিলক ও নেহাল বুক চিতিয়ে ব্যাট না করলে মুম্বই হয়তো আরও আগেই শেষ হয়ে যেত। শেষের দিকে মুম্বইয়ের কেউই দাঁড়াতে পারেননি।
রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থানের ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বৃষ্টি নামে। মিনিট চল্লিশ খেলা বন্ধ থাকার পরে ফের শুরু হয়। রাজস্থানের ইনিংসে ওভার সংখ্যা অবশ্য কাটা হয়নি। পীষুষ চাওলা আঘাত হানেন রাজস্থানের ইনিংসে। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা বাটলার (৩৫) বোল্ড হন পীযূশের বলে। বাটলার ও যশস্বী জয়সওয়াল ওপেনিং জুটিতে ৭৪ রান তোলেন।
বাটলার ফেরার পরে যশস্বী জয়সওয়াল রাজস্থানের ইনিংস টানতে থাকেন। ৩১ বলে পঞ্চাশ করেন তিনি। ক্যাচ পড়ে যশস্বীর। সঞ্জু স্যামসনের ক্যাচ ফেলেন মুম্বইয়ের ডেভিড। মুম্বইয়ের ফিল্ডিংয়ে রক্তাল্পতা চোখে পড়ে।
কথায় বলে, ক্যাচ ধরো, ম্যাচ জেতো। মুম্বই ক্যাচ ছেড়ে ম্যাচ হারল। যশস্বী জয়সওয়াল অসাধারণ এক ইনিংস খেললেন। সঞ্জু স্যামসনও যোগ্য সঙ্গত করেন। তিনি ও যশস্বী ১১০ রান জুড়ে জয় নিশ্চিত করেন। সবার আগেই রাজস্থান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.