Advertisement
Advertisement

শেষে দ্রাবিড়ও চিটফান্ডের ফাঁদে! ৪ কোটি টাকা খুইয়ে পুলিশের দ্বারস্থ প্রাক্তন ক্রিকেটার

একা রাহুলই নন, ওই সংস্থায় টাকা রেখে ঠকেছেন সাইনা নেহওয়াল ও প্রকাশ পাড়ুকোনও।

Rahul Dravid duped by Bengaluru-based firm of crores, files police complaint
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 18, 2018 4:18 pm
  • Updated:August 13, 2019 6:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় রাহুল দ্রাবিড় একটি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন। তাঁর অভিযোগ, বিক্রম ইনভেস্টমেন্টস নামে বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থায় তিনি ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। ওই সংস্থা তাঁকে মোটা টাকার ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা, রাহুল যে ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন, সেই টাকার পুরোটাই ফেরত দিচ্ছে না সংস্থাটি। বাধ্য হয়ে সদাশিব নগর পুলিশ স্টেশনে রাহুল লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। একা রাহুলই নন, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় সাইনা নেহওয়াল ও প্রকাশ পাড়ুকোনও ওই সংস্থায় টাকা রেখে ঠকেছেন বলে জানা গিয়েছে।

[কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে মোদি ব্যর্থ, তোপ মনমোহনের]

প্রকাশ্যে তাঁদের মধ্যে প্রথম মুখ খুললেন দ্রাবিড়ই। দ্রাবিড় তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি বিক্রম ইনভেস্টমেন্টস সংস্থায় ২০ কোটি টাকা লগ্নি করেন। কিন্তু ওই সংস্থা তাঁকে ঠকিয়েছে। ফেরত দিচ্ছে মাত্র ১৬ কোটি টাকা। বাকি ৪ কোটি টাকা ফেরত দিচ্ছে না সংস্থাটি। অথচ বেঙ্গালুরুভিত্তিক সংস্থাটি নাকি তাঁকে আশ্বস্ত করে, মোটা টাকা লগ্নি করলে রাহুল বিপুল লাভ করতে পারবেন। রাহুলের অভিযোগ, লাভ মাথায় থাকুক, আগে সংস্থাটি তাঁকে তাঁর মূলধনের ৪ কোটি টাকা ফেরত দিক। শুধু রাহুলই নয়, অভিযুক্ত সংস্থাটির বিরুদ্ধে আরও ৮০০ জন বিনিয়োগকারীকে ঠকানোর অভিযোগ রয়েছে। রাহুল সাম্প্রতিকতম সংযোজন। তাঁকে দ্বিগুণ টাকা ফেরত পাওয়ার লোভ দেখায় সংস্থাটি। সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে সুতরাম রমেশ নামের এক প্রাক্তন ক্রীড়া সাংবাদিক রয়েছেন। তিনিই ক্রীড়া জগতের নামিদামি ব্যক্তিত্বদের এই সংস্থায় বিনিয়োগ করে দ্বিগুণ করে দেওয়ার লোভ দেখাতেন।

Advertisement

বিক্রম ইনভেস্টমেন্টস সংস্থাটির বিরুদ্ধে সবমিলিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গত ৩ মার্চ। পিআর বালাজি নামের এক বিনিয়োগকারী সর্বপ্রথম ওই সংস্থাটির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর কাছ থেকে ১১.৭৪ কোটি টাকা ফেরত দিচ্ছে না সংস্থাটি, এই বলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ভুক্তভোগী। সংস্থার ডিরেক্টর রাঘবেন্দ্র শ্রীনাথ-সহ পাঁচজনকে এই দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারির পর কেলেঙ্কারির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আরও অন্তত ১০০টি অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা পড়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সংস্থাটি দেশ থেকে টাকা তুলে বিদেশে নানা ব্যবসায় বিনিয়োগ করত। পরে যাতে ওই টাকার হদিশ না পাওয়া যায়, তার সব ব্যবস্থায় পাকা করে রাখে দুষ্কৃতীরা। তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে এই দুর্নীতির শিকড়ের সন্ধান চাইছে পুলিশ। আদালতের কাছে এই মর্মে আবেদনও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।

[উত্তেজনার প্রেক্ষাপটেই আজ ফাইনাল, টগবগ করে ফুটছে ইন্দো-বাংলা দুই শিবির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement