সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব ক্রিকেটে কুইন্টন ডি’কক বিস্ফোরক না হলেও, বেশ মারকুটে ব্যাটার হিসাবেই পরিচিত। কিন্তু সেই ব্যাটারই যেন অচেনা হয়ে গিয়েছিলেন গত আইপিএলের পর। ১১ ইনিংসে ১৩৪ প্লাস স্ট্রাইক রেটে ২৫০ রান, ছক্কা মাত্র ৯টা। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে যে পরিসংখ্যানের কোনওটাই বিশেষ আকর্ষণীয় নয়।
এহেন ডি’কক-কে এবার মেগা নিলামে ফিল সল্টের পরিবর্ত হিসাবে কেকেআর কিনতে কপালে ভাঁজ পড়েছিল সমালোচকদের। প্রথম ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে প্রোটিয়া ব্যাটারের ব্যর্থতা সন্দেহর বীজ পুঁতে দিয়েছিল অতি বড় নাইট সমর্থকের মনেও। তবে বুধবার বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে কুইন্টন-শো দেখার পর, ডি’কক নিয়ে সামান্যতম যদি-কিন্তু থাকার কথা নয় সমর্থক-সমালোচক কারও মধ্যে।
৬১ বলে অপরাজিত ৯৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ম্যাচ জেতানোই নয়, জোড়া রেকর্ডও গড়লেন। এক, রান তাড়া করার ক্ষেত্রে নাইটদের হয়ে এটাই কোনও ব্যাটারের সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ওই রেকর্ড ছিল ২০১৪ ফাইনালে ৯৪ রানের ইনিংস খেলা মণীশ পাণ্ডের দখলে। দুই, গুয়াহাটির বর্ষাপারা স্টেডিয়ামে এক ইনিংসে সর্বাধিক রানও এখন তাঁর দখলে। ২০২৩ সালের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৮৬ রান করেছিলেন পঞ্জাব কিংসের শিখর ধাওয়ান। সেটাই এতদিন ছিল বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ স্কোর।
যদিও প্রোটিয়া তারকা শুধু জোর দিচ্ছেন দলের জয়ের উপর। ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে কুইন্টন বলছিলেন, “আমি সুযোগ কাজে লাগাতে পেরে খুশি। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছি। এমনিতে আইপিএল বড় বড় চার-ছক্কার জন্য পরিচিত। তবে আজকের পরিস্থিতি সেভাবে খেলার মতো ছিল না।” যদিও ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এদিন কি রান রেট বাড়ানোর সুযোগ ছিল নাইটদের সামনে? ডি’কক বলছিলেন, “আগে ফিল্ডিং করায় আমরা উইকেটের পরিস্থিতি ভালোমতোই বুঝতে পেরেছিলাম। বল কেমন আচরণ করছে, সেটা জানতে পেরেছি। এই উইকেটে রান রেট বাড়ানো নিয়ে ভাবনাচিন্তার সুযোগ ছিল না। পরের দিকে বল ঘুরছিল, থেমে থেমে ব্যাটে আসছিল। ফলে রান করার জন্য পরিশ্রম করতে হয়েছে। উইকেট ভালো হলে ‘না হয় সেসব নিয়ে ভাবতাম। আজকে জেতাটাই মূল কাজ ছিল।” আর সে কাজে যে ডি’কক সফল, বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.