স্টাফ রিপোর্টার: বাংলার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামবেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আসতে এয়ারপোর্ট যাবেন স্বয়ং বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে সিএবির চার পদাধিকারী। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যাবেন মেয়র ববি হাকিম। এয়ারপোর্ট থেকে নেমে সোজা হোটেল। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে ইডেনে চলে আসবেন দুপুর সাড়ে বারোটায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ ঘর তৈরি হচ্ছে। ট্রাস্টি বোর্ডের ঘর নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ইডেনে এসে প্রথমে ওই ঘরেই বসবেন হাসিনা। তারপর ম্যাচ শুরুর আগে ইডেন বেল বাজাবেন। সেখান থেকে বক্সে যাবেন। সেই বক্সেও বেশ কিছু জিনিস বদলাতে হবে।
শনিবার বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তার একটা টিম ইডেনে পরিদর্শনে এসেছিল। সঙ্গে ছিল ডেপুটি হাইকমিশনের লোকও। সিএবি কর্তাদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বৈঠক। সেখানে বেশ কিছু নির্দেশিকা দিয়ে গিয়েছে তারা।
নির্দেশিকাগুলি হল:
১) হাসিনা এসে প্রথমে যে ঘরে বসবেন, সেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ছাড়া আর কেউ থাকবেন না।
২) বাংলাদেশ হাই কমিশনের তরফ থেকে ক্লাব হাউসের দোতলায় একটা হেল্প ডেস্ক হবে। হেল্প ডেস্কে থাকা লোকজন ঠিক করবেন হাসিনা যেখানে থাকবেন, তাঁর আশেপাশে কারা থাকবেন।
৩) ইডেনের লিফটে সামান্য সমস্যা রয়েছে। সেটা মেরামত করতে বলা হয়েছে।
৪) হাসিনার বক্সে হটলাইন ফেসিলিটি রাখতে হবে।
৫) বক্সে এসির জায়গা বদল করতে হবে।
৬) হেঁশেলে সিসিটিভি থাকতে হবে।
৭) হাসিনার জন্য যা খাবার-দাবার হবে, তা হাসিনা খাওয়ার আগে অন্য কেউ পরীক্ষা করে দেখে নেবেন।
বক্সে বসে কিছুক্ষণ খেলা দেখবেন হাসিনা। তারপর তিনি আবার হোটেলে ফিরে যেতে পারেন। খেলা শেষ হওয়ার আধঘণ্টা আগে ইডেনে আসবেন। রাতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সেসবের পর রাতের বিমানেই আবার বাংলাদেশ উড়ে যাবেন তিনি।
শোনা গেল, নিরাপত্তা এমনই থাকবে, সেখানে সমস্ত সিএবি সদস্যরাও ক্লাবহাউস সংলগ্ন জায়গায় থাকতে পারবেন না। সিএবিকে বলে দেওয়া হয়েছে, কিছু কর্তা থাকতে পারবেন। থাকবেন, সেটা আগে থেকে লিস্ট করে জানিয়ে দিতে হবে। তার বাইরে একজন লোকও থাকতে পারবেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.