সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হতেই ২২ গজে ব্যাট করতে নেমে পড়ল রাজনীতি। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে অতিরিক্ত গুরুত্ব পেয়েছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। অথচ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ইন্দোর, মোহালি, কেরলের স্টেডিয়াম। কেন এমন দ্বিচারিতা? বিসিসিআইকে আক্রমণ করে এই প্রশ্নই তুলল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
মঙ্গলবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে আইসিসি। এবার ভারতের মোট দশটি ভেন্যুতে হবে ম্যাচ। ভেন্যুর নিরিখে যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড। এর মধ্যে উদ্বোধনী এবং ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে মোদির রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদ। দুটি সেমিফাইনাল হবে কলকাতা ও মুম্বইয়ে। এছাড়াও বিশ্বকাপের ম্যাচের আসর বসবে বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধরমশালা, হায়দরাবাদ, লখনউ ও পুণে। কিন্তু শিকে ছেঁড়েনি ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামের। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অভিলাশ খাণ্ডেকর আক্ষেপ করে জানান, ১৯৮৭ সালে এখানে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল। কিন্তু এবার ম্যাচ পায়নি এই শহর।
একইরকম ভাবে ভেন্যুর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে মোহালি। যে মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচের আসর বসেছিল। পাঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার তরফে পরোক্ষে বিসিসিআইকে পক্ষপাতদুষ্টই বলা হয়েছে। আবার তিরুবনন্তপুরম কোনও ম্যাচ না পাওয়ায় বিসিসিআইকে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। কটাক্ষ করে বলেন, মোদি জমানায় আহমেদাবাদই যেন ক্রিকেটের রাজধানী হয়ে উঠছে। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে রাজীব শুক্লার সাফাই, ভেন্যু নির্বাচন পুরোপুরি তাঁদের হাতে ছিল না। সব পরিস্থিতি দেখে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি-ই।
তবে একের পর এক টুর্নামেন্ট কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে যেভাবে আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে বিসিসিআইকে আরও আক্রমণের মুখে পড়তে হবে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.