সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুস্থ ছিলেন না। ছিলেন যন্ত্রণায় কাতর। ঝুঁকি ছিল অকালে কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার। তবু দেশের জন্য খেলেছেন প্রতিটা ম্যাচ। ২০১৫ বিশ্বকাপের (2015 ICC Cricket World Cu) অজানা যন্ত্রণার কথা শোনালেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা পেসার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)।
২০১৫ বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন শামি। নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই আলোড়ন ফেলে দেন ভারতীয় দলের এই পেসার। ৭ ম্যাচে ১৭টি উইকেট শিকার করেন তিনি। গড় ছিল মাত্র ১৭.২৯। ভারতীয়দের মধ্যে শামি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। গোটা বিশ্বকাপে উইকেট সংখ্যার নিরিখে ছিলেন চতুর্থ। এহেন সাফল্য তিনি অর্জন করেছেন ভাঙা হাঁটু নিয়েই। এমনকী, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালও খেলেছেন আনফিট অবস্থায়। ইরফান পাঠানের সঙ্গে এক ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে এসব কথা ফাঁস করেছেন টিম ইন্ডিয়ার পেসার।
শামি বলছিলেন, “বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই আমার হাঁটু ভেঙে যায়। আমার হাঁটু আর ঊরু যেন সমান সমান হয়ে গেছিল। চিকিৎসকরা প্রতিদিন আমার হাঁটু থেকে রস বের করতেন। দিনে তিনটে করে বেদনানাশক ওষুধ খেতাম তখন। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে আর হাঁটতে পারতাম না। গোটা বিশ্বকাপটা খেলেছি ফিজিও নীতীন প্যাটেলের দেওয়া আত্মবিশ্বাসে।” ইরফান পাঠানকে শামি জানান, ধোনি বিশ্বাস রেখেছিলেন বলেই গোটা টুর্নামেন্ট খেলতে পেরেছেন তিনি। টিম ইন্ডিয়ার পেসার বলেন,”সেমিফাইনালের আগে আমি আমার সতীর্থদের জানিয়েছিলাম, আর নিতে পারছি না। ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছে। তখন টিম ম্যানেজমেন্ট বলে, সব ঠিক হয়ে যাবে।”
ধোনির (MS Dhoni) প্রশংসা করে শামি বলেন, ‘মাহি ভাই আর টিমের সবাই আমাকে আত্মবিস্বাস যোগাতো। সেমিফাইনালে প্রথম ৫ ওভারে আমি মাত্র ১৩ রান দিই, একটা উইকেট পায়। কিন্তু তারপর মাহিভাইকে বলি, আমি আর বল করতে পারব না কারণ আমি হাঁটতে পারছি না। কিন্তু মাহিভাই বলেন, আমি তোমাকে বিশ্বাস করি। আমি একটা ইঞ্জেকশন নিয়ে এসে আবারও বল করি।’ শামি জানিয়েছেন, অনেকেই তাঁকে ওই অবস্থায় না খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এতে কেরিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু দেশের জন্য তিনি খেলা চালিয়ে যান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.