সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোহানেসবার্গের নেলসন ম্যান্ডেলা স্কোয়্যার ও গোল্ড রিফে ঘুরতে যাওয়া। দক্ষিণ আফ্রিকায় কীভাবে সোনার ব্যবসা শুরু হল তার সম্বন্ধে বিশেষ ক্লাস নেওয়া। রবিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে ভারতীয় দলের ছবিটা ঠিক এমনই। মঙ্গলবার সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর পর টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করেছিল দু’দিনের ব্রেক দেওয়া হবে ক্রিকেটারদের। এই অভিনব প্রয়াসের পিছনে আসল লক্ষ্য ছিল, ফাইনালের আগে ক্রিকেটারদের মানসিক ভাবে ফুরফুরে রাখা।
পূর্ব নির্ধারিত সেই ছুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত টুরিস্ট স্পটগুলো চুটিয়ে উপভোগ করলেন ক্রিকেটাররা। যে তালিকায় ছিল নেলসন ম্যান্ডেলা স্কোয়্যার ও গোল্ড রিফ সিটি। আবার টিম লাঞ্চে বিশেষ ক্লাসে ক্রিকেটাররা জানতে পারেন কীভাবে ১৮৮৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় সোনার ব্যবসা শুরু হয়। এরপর শুক্রবার ক্রিকেট ফিরল ভারতীয় সংসারে। ফের অনুশীলনে নামলেন যশস্বীরা। প্রতিটা বিভাগকে খতিয়ে দেখে নেওয়া হয়। বিশেষ করে ফিল্ডিং।
দলের ফিল্ডিং কোচ অভয় শর্মার দাবি, ফাইনালের জন্য তৈরি যশস্বীরা। বললেন, ‘সবাই জানে রবিবার তাদের থেকে কী আশা করা হচ্ছে। আমাদের নতুন করে ওদের কিছু বলতে হবে না। দলের সবাই তৈরি ফাইনালের জন্য। আশা করছি আজ আমরা নিখুঁত ক্রিকেট উপহার দেব।’
এর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। আজ পোচেফস্ট্রুমে রয়েছে পঞ্চম বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ। আর এই একটি মাত্র ম্যাচই বদলে দিতে পারে এক ফুচকা বিক্রেতার ছেলে যশস্বী জয়সওয়াল থেকে বাস কন্ডাক্টরের পুত্র অথর্ব আঙ্কোলেকরের জীবন।
অন্যদিকে, এই প্রথম কোনও বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়ার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তাই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার টিমকে ফাইনালে ওঠার শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, অহেতুক চাপ না নিতে। জয়-পরাজয় নিয়ে না ভেবে শুধু মাঠে নেমে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে দিতে।
ইতিমধ্যে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে গিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের রাঘববোয়ালরা। ক্রিকেটারদের নতুন ইতিহাস গড়ার জন্য উৎসাহিত করছেন। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর মতো তাঁরাও চাপ থেকে দূরে রাখতে চাইছেন পুরো দলকে। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল হাসান সান্টো বলছেন, ‘মনে রাখবেন, চাপ কিন্তু আমাদের নয়। চাপটা ভারতের। কারণ ভারতের সব কিছু হারানোর আছে। আমাদের কিছু নেই। তাছাড়া আমরা কী রকম খেলেছি তা সবাই দেখেছে। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডও বুঝেছে। আশা করি, ফাইনালে ভারতকেও বোঝাতে পারব।’
দু’দেশের এই মানসিক টানাপোড়েনের মাঝে ভারতীয় ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন শচীন তেণ্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। শনিবার রাতে লিটল মাস্টার টুইট করেন, ‘আশা করব নিজেদের পারফরমেন্স ধরে রেখে এই কাপ দেশে আনবে তোমরা।’
All the best to the U19 🇮🇳 Cricket Team for the U19 @cricketworldcup Final!
Hope you’ll continue the stellar team performance & win this for India.#U19CWC #FutureStars #INDvBAN— Sachin Tendulkar (@sachin_rt) February 9, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.