Advertisement
Advertisement
আফ্রিদি

নেই স্পনসর, জার্সিতে আফ্রিদির সংস্থার লোগো লাগিয়ে খেলবে ‘ফতুর’ পাকিস্তান

স্পনসরের অভাবে ধুঁকছে পাক ক্রিকেট।

Pakistan cricket team kits to feature logo of Shahid Afridi's foundation
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 9, 2020 1:31 pm
  • Updated:July 9, 2020 1:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল ক্রিকেট। তাছাড়া বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থাও ভাল নয়। এই পরিস্থিতিতে চরম অসুবিধায় পড়েছে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডগুলি। স্থানীয়, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক, কোনও ধরনের ক্রিকেটেই মিলছে না স্পনসর। এমনকী পাকিস্তানের মতো দেশ, যেখানে কিনা ক্রিকেট চূড়ান্ত জনপ্রিয়, সেখানেও জাতীয় দল স্পনসরহীন। সামনেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে নামবে পাকিস্তান (Pakistan)। কিন্তু এখনও স্পনসর জোগাড় করতে পারেনি পিসিবি (PCB)। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা জার্সিতে ব্যবহার করবে প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোগো।

Pakistan

Advertisement

বুধবার আফ্রিদি (Shahid Afridi) নিজেই সে খবর জানিয়েছেন। আফ্রিদির সংস্থা ‘শাহিদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন’ আবার পিসিবির ‘চ্যারিটি পার্টনার’। সেই সুবাদেই ওই সংস্থার লোগো জার্সিতে লাগাতে চলেছে পাক বোর্ড। কিন্তু এর জন্য পাকিস্তান বোর্ড একটা টাকাও পাবে না। বরং লাভ হবে আফ্রিদির সংস্থার। পাকিস্তান দলের জার্সিতে নিজেদের লোগো দেখিয়ে বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে চাঁদা তুলতে পারবে সংস্থাটি।

[আরও পড়ুন: মেলবোর্নে ফের লকডাউন জারি হওয়ার জের, চলতি সপ্তাহেই বাতিল হতে পারে টি-২০ বিশ্বকাপ]

আসলে, এই মুহূর্তে পাক বোর্ডের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। এতদিন শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্প্রচার স্বত্ব ছিল টেন স্পোর্টসের হাতে। যা কিনা এবছরই শেষ হচ্ছে। ক্রিকেট বন্ধ থাকার দরুন এই দেশগুলি নতুন কোনও সংস্থার সঙ্গে ক্রিকেট সম্প্রচারের চুক্তি করতে পারেনি। ফলে এই ক্রিকেট বোর্ডগুলির আয়ের মূল উৎসই বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের বেতন, কর্মীদের বেতন, পরিকাঠামো খাতে খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি। কারণ পিসিবির (PCB) আয়ের আরেক উৎস পাকিস্তান সুপার লিগও (PSL) এবার অসম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। পাক বোর্ডের তত্বাবধানে এবছর যে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল সেটাও বাতিল হয়ে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, পিসিবি এখন যে স্পনসরের সঙ্গেই যোগাযোগ করছে, তাঁরা অন্তত ৩০-৪০ শতাংশ টাকা কম দিতে চাইছে। এখন দ্রুত স্পনসর জোগাড় করতে না পারলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement