সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ৩ দশক বাদে ঘরের মাঠে আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজন। অথচ সেই মেগা টুর্নামেন্টে অভিযান শেষ মাত্র ৪ দিনেই! পাক দলের এই ভরাডুবির নেপথ্যে নাকি ড্রেসিংরুমের অশান্তি এবং কোচ-অধিনায়ক দ্বন্দ্ব। দুজনের ক্ষমতা দখলের লড়াই। একাধিক সংবাদমাধ্যমে অন্তত তেমনটাই দাবি। যদিও পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আকিব জাভেদ সবটাই অস্বীকার করেছেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের দাবি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পাক শিবিরে অশান্তি চরমে ওঠে। দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি কে নেবেন, তাই নিয়ে রীতিমতো দড়ি টানাটানি শুরু হয় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আকিব জাভেদ এবং অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ানের। দু’জনেই সব ক্ষমতা নিজের হাতে রাখতে চেয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, দল নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রথম একাদশ বাছাই, রিজওয়ানের মতকে নাকি সেভাবে গুরুত্বই দেননি কোচ জাভেদ। এমনকী পর পর দুই ম্যাচ হারের পর ড্রেসিংরুমে সিনিয়র ব্যাটারদের রীতিমতো বকাবকি করেন তিনি।
যদিও পরে আকিব জাভেদ পুরোটাই অস্বীকার করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, “আমি ক্রিকেটারদের সম্মান করি। কাউকে বকাবকি করি না। শিক্ষকরা ছাত্রদের বকাবকি করে, মারধরও করে। কিন্তু আমি কোচ হিসাবে সেটা করি না। আমি ক্রিকেটারদের সম্মান করি। ওরা যেভাবে চায়, সেভাবেই অনুশীলন করাই। আসলে কোচেরা শুধু ক্রিকেটারদের সাহায্য করতে পারে। যারা বকাবকি করে, আমি সেই ধরনের লোক নই।” সমস্যা হল, এটা বলার পরই আবার ক্রিকেটারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন আকিব। তিনি বলছেন, “সার্বিকভাবেই আমাদের ক্রিকেটে উন্নতি দরকার। যেখানে দরকার ২৫০ রান। সেখানে আমরা করছি ১২০-১৫০।”
আসলে সার্বিকভাবেই পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন একটা দৈনদশা চলছে। ফলে তড়িঘড়ি বদলের ডাক উঠছে ওয়াঘার ওপারে। শোনা যাচ্ছে কোচ, কোচিং স্টাফ, সবেই বদল আসতে পারে। চাকরি যেতে পারে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আকিব জাভেদের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ হলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনিতে পাক ক্রিকেটে কোচ বদল ধারাবাহিক ঘটনা। গত ১ বছরে ৫ জন কোচ এসেছেন এবং গিয়েছেন। আকিব জাভেদ ও তাঁর সহকারীদের সঙ্গেও সেটাই হতে চলেছে বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.